এ সিজন অব বাংলা ড্রামা’ উৎসবে ছান্দসিক-এর কবিতা পাঠ,আবৃত্তি,গান পরিবেশনা
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
লন্ডন: এ সিজন অব বাংলা ড্রামা’ উৎসবে ছান্দসিক-এর কবিতা পাঠ,আবৃত্তি, গান পরিবেশনা গত 23 নভেম্বর সন্ধ্যায় পূর্ব লন্ডনের কবি নজরুল সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছান্দসিকের কর্ণধার মুনিরা পারভীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ব্যতিক্রমী এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লন্ডনের সাহিত্যামোদী সংস্কৃতিপ্রিয় সুধীজন। বৈরী আবহাওয়ার মাঝে বৃষ্টি¯স্নাত সন্ধ্যা হয়ে ওঠে মাদকতাপূর্ণ ‘আলো আমার আলো’র মূর্ছনায় অনন্য। এ সিজন অব বাংলা ড্রামার ছান্দসিকের এবারের পরিবেশনার প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘দি লাইট উইল কাম’ ‘আলো আসবে’। বাচিকশিল্পী মুনিরা পারভীন অনুষ্ঠান শুরু করেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আলো আমার আলো ওগো আলোয় ভুবন ভরা’ গানের কথা এবং উইলিয়াম রাদিচির ইংরেজি অনুবাদের আবৃত্তি দিয়ে। এই আশাবাদী উচ্চারণে একে একে কবিতা পাঠ, আবৃত্তি,কথা ও গানে মঞ্জরিত হয় হলে উপস্থিত শ্রোতাদের মনপ্রাণ। প্রথমেই ভিনভাষী কবি মানাতিতা এ কে এ (দা ল্যান্টার্ন ক্যারিয়ার)কে মুনিরা আহবান করেন স্বরচিত কবিতা পাঠে। পরিচয় করিয়ে দেন এই অবাঙালি কবিকে। সবাই করতালির মাধ্যমে তাকে স্বাগত জানান। দুই একটি বাংলা শব্দযুক্ত ভাষ্যে কবি তার পরিচয় ও পাঠ সমাপন করলে আনন্দ ঝরে পড়ে হলের চারদিকে।
এরপর শুরু হয় নির্ধারিত কবিতা পাঠ ও আবৃত্তি। সুদূর লুটন থেকে আগত কবি আনোয়রুল হক স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন। বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপট ধ্বনিত হয় কবিতায়। তারপর কবিতা আবৃত্তিতে অংশ নেন আবৃত্তিকার নজরুল ইসলাম অকিব, ইয়াসমীন মাহমুদ পলিন, তাহেরা চৌধুরী লিপি, মিজানুর রহমান, মহুয়া চৌধুরী। স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন কবি ফয়জুল ইসলাম ফয়েজনূর। কবিতাপাঠ ও আবৃত্তির পর ভিন্নছন্দ রূপ নেয় সুরের মূর্ছনায়। গিটার বাজিয়ে ইংরেজি গান পরিবেশন করে ক্ষুদে শিল্পী আফরা খন্দকার। এ সিজন অব বাংলা ড্রামায় বড় পরিসরে আফরা খন্দকারের ইংরেজি গান পরিবেশনা ছিল প্রথম ও আনন্দদায়ক। অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের পালা শুরু হয় এর পরেই। কবিতা সর্বোপরি সংস্কৃতি যে মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ তার অভিন্নতা নিয়ে কথা বলেন টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সাবেক স্পীকার আহবাব হোসেন, কবি হামিদ মোহাম্মদ, সংগীতশিল্পী রূপী আমিন ও সংস্কৃতিজন সৈয়দ এনামুল ইসলাম। তারা বলেন, ছান্দসিক একটি সৃজনশীল প্রতিষ্ঠান, বিলাতে বাংলা সংস্কৃতির মেলবন্ধন সৃষ্টিতে এর অনন্য ভূমিকা রয়েছে। আজকের এ অনুষ্ঠানে সেই প্রতিধ্বনি আমাদের সুস্থ সংস্কৃতিচর্চায় জাগ্রত রাখবে।সুধীজনের বক্তব্যের পর অনুষ্ঠান শেষ হয। কিন্তু রেশ রয়ে যায়। কবিতা, গান ও কথায় সমৃদ্ধ একটি সন্ধ্যা উপভোগ করে সকলেই মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। বৃষ্টিমুখর সন্ধ্যায় মুখরিত আলোর প্রত্যাশা বুকে ধারণ করে সংস্কৃতিপ্রিয় সুধীজন ঘরে ফিরেন একে একে।