নতুন করে আবারও ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ এক মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরুসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। পূর্বঘোষিত আলটিমেটাম প্রত্যাহার করলেও পাঁচ দফা দাবিতে নতুন করে আবারও ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা।আজ মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সাড়ে ছয়টায় ঢাকা কলেজে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে নতুন এই আলটিমেটাম ঘোষণা করেন তারা।ব্রিফিংয়ে শিক্ষার্থীরা জানান, সাত কলেজের সামনে দিয়ে ঢাবির পরিবহন চলাচল করতে পারবে না, এমন সিদ্ধান্ত থেকে আমরা সরে এসেছি। আমরা চাই না এ বিষয় নিয়ে নতুন করে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ুক।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান বলেন, চূড়ান্ত কোনো সমাধান এখনো হয়নি। আমরা মনে করছি যাদের কারণে আমাদের সহপাঠীরা আহত হয়েছেন তাদের সুষ্ঠু বিচার না করে কোনো সমাধান সম্ভব নয়। দেশের কথা চিন্তা করে এবং অস্থিতিশীল পরিবেশ যাতে তৈরি না হয় সেজন্য পূর্বঘোষিত আলটিমেটাম সাত শিক্ষার্থীরা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তবে যারা আঘাত করেছে তাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত নতুন করে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম বহাল থাকবে।কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থী জাকারিয়া বারী বলেন, যারা আমাদের ভাইদের রক্ত ঝরিয়েছে তাদের সঙ্গে কীসের সমাধান। আমরা এমনি এমনি তাদের রক্ত ডিঙিয়ে সমাধান করতে পারি না। তাছাড়া স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় গঠনে ১৫ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছি এবং ১ তারিখ থেকে সকল প্রকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বিশেষ করে ক্লাস এবং পরীক্ষা শুরুর ব্যবস্থা করতে হবে। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি ভাঙচুর এবং থানা ঘেরাও কর্মসূচি আমরা প্রত্যাহার করেছি।এছাড়া আহত ও প্রো-ভিসির কার্যালয়ে অপমানের শিকার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসে সমাধান বের করার চেষ্টা কররা হবে বলেও জানান তারা।এক মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরুসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি
১. শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটিকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়নের রূপরেখা দিতে হবে।
২. এক মাসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মধ্যদিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করতে হবে।
৩. পূর্বঘোষিত রুটিনের মধ্যদিয়ে ক্লাস-পরীক্ষা চলমান রাখতে হবে।
৪. বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সব বর্ষের শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
৫. সংকট নিরসনে শিক্ষার্থী, সাত কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের কমিটিসহ অন্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে দুইদিনের মধ্যে টেবিলটকের আয়েঅজন করতে হবে।