ডব্লিউএইচওর স্বীকৃতি ছাড়া টিকা নেবে না বাংলাদেশ

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) স্বীকৃতি পায়নি করোনা প্রতিরোধের এমন টিকা কিনবে না সরকার।এছাড়া টিকা সংগ্রহের জন্য এক প্রকল্পের অধীনে ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন,দেশে সবাইকে না পারলেও দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।তিনি আরও বলেন,করোনা ভ্যাকসিনের জন্য বিভিন্ন দেশে উঠেপড়ে লেগেছে।ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়েছে ৪৬টি ভ্যাকসিনের,আর প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে ৯১টি ভ্যাকসিনের।যারা টিকা তৈরি করছে, শুরু থেকেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।আমাদের একটা বেইজলাইন হলো ডব্লিউএইচও যেটাকে রিকগনাইজ না করবে,সেটাকে আমরা একসেপ্ট করব না।

সচিব আরও বলেন,এটাকে বেজলাইন ধরে আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ডিপার্টমেন্টগুলো এবং আমাদের ফার্মাসিটিক্যালস কোম্পানি পার্সোনালি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে এখানে প্রোডাকশনের জন্য।আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন,এখানে যে পদক্ষেপ স্বাস্থ্য বিভাগ নিয়েছে সেটা হলো গত ৪ জুন অনুষ্ঠিত যুক্তরাজ্যের উদ্যোগের লন্ডনে ‘গ্লোবাল ভ্যাকসিন সামিট-২০২০’ অনুষ্ঠিত হয়,এ সামিটে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও বার্তা প্রেরণ করেন।বিশেষ করে গ্যাভির (গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমুনাইজেশন) পক্ষ থেকে ভ্যাকসিন পাওয়ার যোগ্য দেশ হিসেবে ঘোষণার যে আবেদন জানানো হয় তা গ্রহণ করা হয়েছে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন,চীনের বেসরকারি কোম্পানি সিনোভ্যাকের যে ভ্যাকসিন করেছে,সেটার থার্ড ট্রায়াল হিসেবে বাংলাদেশে সরকারের কাছে একটি আইসিডিডিআর’বি আবেদন জানানোর পর তা অনুমোদন করা হয়েছে।এখানে সিনোভ্যাকের ভ্যাকসিনের একটা ট্রায়ালের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছে।সে ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে একটু লেস প্রাইসে আমরা ভ্যাকসিন পাবো।শুধু তাই নয়,আমাদের এখানকার এক বা একাধিক ফার্মাসিটিক্যালস কোম্পানি ইন্ট্রোডিউস করবে।

তিনি আরও বলেন,রাশিয়ার ক্যামেলিয়া ন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টারের ‘স্পুটনিক-ভি’ ভ্যাকসিন প্রযুক্তি বাংলাদেশে হস্তান্তরের জন্য তারা আমাদের অফার দিয়েছে।এটাও বিবেচনায় রয়েছে।এ বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ আছে।কিন্তু আমরা কন্ডিশন দিয়েছি এজন্য ডব্লিউএইচওর অ্যাপ্রুভাল লাগবে।আরেকটি হচ্ছে ভারতের বায়োটেক,তারা আমাদের এখানে ট্রায়ালের আগ্রহ দেখিয়েছে।এ বিষয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ভ্যাকসিন কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছে।৩৬ জনের প্রশিক্ষণের প্রস্তাব করেছে।অনলাইনে অরিয়েন্টেশন ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন,ফ্রান্স ও বেলজিয়ামভিত্তিক সানোফি অ্যান্ড জিএসকে প্রোটিন বেইজ ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। দেশের দুটি ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি এটি প্রডিউসের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।’

বিশ্বে গত একশ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় মহামারী ডেকে এনেছে নতুন করোনাভাইরাস।এতে ১০ লাখের বেশি মানুষ ইতোমধ্যে মারা গেছে।বাংলাদেশেও মৃত্যুর সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়েছে।এই রোগের কোনো ওষুধ এখনও আবিষ্কৃত না হওয়ায় টিকার দিকেই চেয়ে আছে বিশ্ববাসী।রাশিয়া ও চীন ইতোমধ্যে টিকা তৈরি করে তার প্রয়োগও শুরু করেছে।আরও কয়েকটি দেশের টিকাও রয়েছে চূড়ান্ত পর্যায়ে। তবে এর কোনোট এখনও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চূড়ান্ত অনুমোদন পায়নি।

You might also like