বছরে একাধিকবার বিদ্যুৎ-জ্বালানির মূল্য পরিবর্তনের সুযোগ রেখে বিল পাস
নিউজডেস্ক
সত্যবাণী
জাতীয় সংসদভবন থেকেঃ বছরে একাধিকবার বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম পরিবর্তন করতে পারবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এ বিধান রেখে বুধবার (১৮ নভেম্বর) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) বিল-২০২০’ সংসদে পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।গত ২৩ জুন বিলটি সংসদে উত্থাপনের পর সেটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।
গত বছরের ডিসেম্বর মাসে বিলটি মন্ত্রিসভার অনুমোদন পায়।২০০৩ সালে প্রণীত বিদ্যমান আইনে বিধান ছিল— কমিশনের নির্ধারিত ট্যারিফ কোনও অর্থবছরে একবারের বেশি পরিবর্তন করা যাবে না, যদি না জ্বালানি মূল্যের পরিবর্তনসহ অন্য কোনও পরিবর্তন ঘটে। বিলে এটা পরিবর্তন করে করা হয়েছে।বিলে বলা হয়েছে, কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত ট্যারিফ কোনও অর্থবছরে কমিশনের একক বা পৃথক পৃথক আদেশের মাধ্যমে প্রয়োজন অনুসারে এক বা একাধিকবার পরিবর্তন করতে পারবে।নতুন আইন কার্যকর হলে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন বছরে এক বা একাধিকবার বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডিজেল, পেট্রোলসহ জ্বালানির দাম পরিবর্তন করতে পারবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সম্প্রতি জ্বালানি সরবরাহ কাঠামোতে দ্রুত পরিবর্তন ঘটায় আইনটি সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।বিল পাসের সময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘৫২ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি নয়, এটা বিনিয়োগ।এটা প্রধানমন্ত্রী না করলে প্রবৃদ্ধির উন্নয়ন হতো না।বিদ্যুতের কারণে শুধু এলাকা আলোকিত হয়নি, মানুষের জীবনমান আলোকিত হয়েছে। বর্তমানে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা আছে।এটা ঠিক কোভিডকালে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বেশ সমস্যা হয়েছে। মাঠকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ (মিটার রিডিং) করতে পারেননি। দোষ স্বীকার করেছি।’