রাশিয়ায় শতাধিক শহরে পুতিনবিরোধী বিক্ষোভ, আটক ৩০০০
আন্তজার্তিক ডেস্ক
সত্যবাণী
রাশিয়া: রাশিয়ায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনির সমর্থনে বিক্ষোভ করেছে হাজার হাজার মানুষ।বিক্ষোভ থেকে ৩ হাজারের বেশি জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে জানিয়েছেন পর্যবেক্ষকরা।খবর রয়টার্স, বিবিসি’র।সাম্প্রতিক সময়ে প্রেসিডেন্ট পুতিনের বিরুদ্ধে হওয়া অন্যতম এই বিক্ষোভ র্যালিতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ উপস্থিত থাকলেও হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন।বিক্ষোভকারীদের শারীরিকভাবে মস্কোর দাঙ্গা পুলিশ নির্যাতন করছে, এমনও দেখা গেছে।প্রেসিডেন্ট পুতিনের সমালোচকদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তি অ্যালেক্সি নাভালনি গত রোববার গ্রেফতার হওয়ার পর বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়।মস্কো, সেইন্ট পিটার্সবার্গ, সাইবেরিয়াসহ প্রায় ১শ’ শহরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে মানুষ। কিশোর, ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে বয়স্ক ব্যক্তিরা পর্যন্ত বিক্ষোভে অংশ নেয়। তারা নাভালনির মুক্তি দাবি করেন।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানায়, মস্কোর র্যালিতে অন্তত ৪০ হাজার মানুষ অংশ নেয়। তবে রাশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাষ্যমতে বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা ৪ হাজার।পর্যবেক্ষকরা বলছেন, রাশিয়ায় এই মাত্রার বিক্ষোভ আগে কখনো দেখা যায়নি। আর মস্কোতে গত দশ বছরের মধ্যে এত বড় পরিসরে বিক্ষোভ হয়নি।র্যালি পর্যবেক্ষণের কাজ করে থাকে এমন একটি বেসরকারি সংস্থা ওভিডি ইনফো, তারা জানিয়েছে প্রায় ৩,১০০ মানুষকে আটক করা হয়েছে। যার মধ্যে ১,২০০ জনের বেশি মস্কো থেকে।বিক্ষোভের মধ্যে নাভালনির স্ত্রী ইউলিয়াকেও কিছুক্ষণের জন্য আটক করে পুলিশ। তিনি ওই ঘটনার একটি ছবিও তাঁর ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন। এ বিষয়ে ক্রেমলিন কোনো মন্তব্য করেনি।
উল্লেখ্য, গত আগস্টে রাশিয়ার বিরোধী নেতা নাভালনির ওপর স্নায়ু বিকল করার বিষাক্ত রাসায়নিক প্রয়োগ করা হয়। তারপর থেকে তিনি চিকিৎসার জন্য জার্মানিতে ছিলেন। গত রোববার বার্লিন থেকে মস্কোতে ফেরার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর ৩০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাকে। মূলত এই ৩০ দিন বিচারকার্য শুরু হওয়ার আগে তাকে রিমান্ডে রাখা হবে।প্যারোলের শর্ত ভাঙ্গার অভিযোগে গ্রেফতার দেখানো হয় তাকে। তবে নাভালনি দাবি করেছেন যে, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা।এদিকে রাশিয়ায় শনিবার (২৩ জানুয়ারি) মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ বিঘ্নিত হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে, তবে বিক্ষোভের সাথে এই ঘটনার সম্পর্ক আছে কিনা জানা যায়নি।সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ টিকটকে বিক্ষোভ কর্মসূচিকে সমর্থন করে অসংখ্য ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে এবং নাভালনি সম্পর্কে ভাইরাল মেসেজ শেয়ার করা হয়েছে।রাশিয়ার শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিভাবকদের অনুরোধ জানিয়েছে যেন তারা তাদের সন্তানদের কোনো বিক্ষোভে অংশ নিতে না দেয়।