বাঙালী অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটস’র স্টাফদের করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
লন্ডনঃ রিটেনে করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে চলছে নানা কথা।পক্ষে বিপক্ষে অনেক মতামত দিচ্ছেন,সেসব কথারমধ্যে যেমন সংস্কার আছে তেমনি আছে কুসংস্কার এমনকি ভয় ভীতিও।হারাম হালাল নিয়েও অনেক ফতোয়া সৃষ্টি হয়েছে,তবেঅধিকাংশ আলেম উলামা ভ্যাকসিন দেয়ার পক্ষে মতামত দিয়েছেন।করোনাভাইরাস ছড়ানোর প্রায় এক বছর পর
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে ফাইজার/বায়োএনটেকের করোনাভাইরাস টিকার অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাজ্য, মঙ্গলবার (২২ডিসেম্বর’২০) থেকে ফাইজার ও বায়োএনটেক উদ্ভাবিত করোনা টিকা প্রয়োগ করছে যুক্তরাজ্যে।সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে লন্ডন ব্যরো অফ টাওয়ার হ্যামলেটস এর ট্রান্সপোর্ট ডিপার্টমেন্ট স্টাফরা আজ ২৭জানুয়ারি রয়েল লন্ডন হসপিটালে করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ করছেন। ফ্রন্ট লাইন স্টাফ হিসেবে নির্ধারিত সময়ের আগেইকরোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ করছেন। রবার্ট রেডিং,রয় লরেন্স, গ্রিমা মেকুরিয়া, ক্রিশটিন লং, মেলভিন, এঞ্জেলা, আবুল কাবির, মাছুম আহমেদ,আনাস জামান, ফাতেহা বেগম, রেজওয়ানা বক্স, আয়শা, হাছিনা বেগম, পল ভল্কব, টিনা নাগুতন, মার্টিন, রওশনারা বেগম, রিনি পল, রহিমা, কেটি জন্সন, নজরুল ইসলাম ও মোহাম্মাদ জাহেদীসহ আরো অনেকেই ইতিমধ্যে ভ্যাকসিনপ্রয়োগ করছেন। পর্যায়ক্রমে ২/৩ দিনের ভিতর বাকী সকল স্টাফরা ভ্যাকসিন প্রয়োগ করবেন।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বায়োনটেক-ফাইজার ভ্যাকসিন দিতে শুরু করেছেন গুটা ব্রিটেন জুড়ে।এ পর্যন্ত প্রায় সত্তর লক্ষ মানুষ করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ করছেন।ব্রিটেনের মানুষ আশাবাদী এই ভ্যাকসিনের মাধ্যমে করোনায়জীবনাবসানের আশঙ্কা থেকে মুক্তি মিলবে এবং মহামারি কেটে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।টিকা প্রয়োগের মতো বিশালকঠিন কাজ যখন শুরু হচ্ছে, আশা করা যায় এই সমস্যাও কাটিয়ে উঠবে বিশ্ববাসী।আপাতত ৫০টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দেয়া হচ্চে ফাইজারের ভ্যাকসিন। মার্কিন ও জার্মানির উদ্যোগে তৈরি এ টিকা করোনা
ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের ইমিউনোলজিস্ট অধ্যাপক ড্যানি অল্টম্যান বিবিসিকে বলেছেন, টিকার পুরো কার্যকারিতা তৈরি হতেকমপক্ষে দুই সপ্তাহ বা সম্ভবত আরো বেশি সময় লাগে।যারা টিকা নিচ্ছেন তাদের থেকে কি আবার করোনা ছড়াতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে বিবিসির বিজ্ঞানবিষয়ক সংবাদদাতাডেভিড শুকম্যান জানান,এটা এক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এ ব্যাপারে কেউ নিশ্চিত নন।
এর কারণ হলো,টিকারট্রায়ালগুলোতে দুটি জিনিস দেখা হয়েছে।একটি হলো- টিকাটি নিরাপদ কিনা এবং অপরটি হলো- তা করোনাভাইরাস আক্রান্তদের গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া কতখানিঠেকাতে পারে। দুটি ক্ষেত্রেই ভালো ফল পাওয়া গেছে। কিন্তু ভ্যাকসিন নিলেও একজন থেকে আরেকজনে করোনাভাইরাস ছড়াতেপারে কিনা তার অনুসন্ধান করা হয়নি।ফলে যারা টিকা নিয়েছেন তারা অন্যদের মধ্যে ভাইরাস ছড়াতে পারেন কিনা এ বিষটিএখনো অজানা।