ভোট ডাকাতির নির্বাচন করে বিএনপি এখন গণতন্ত্রের ফেরিওয়ালা : সেতুমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন,১৫-ই ফেব্রুয়ারির ভোট ডাকাতির নির্বাচন করে বিএনপি এখন গণতন্ত্রের ফেরিওয়ালা সেজেছে।তিনি সোমবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে রাসেল স্কয়ারে ১৯৯৬-এর ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি’র প্রহসনের জাতীয় নির্বাচনের প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন।১৯৯৬ সালের এই দিনে ভোটার-বিহীন নির্বাচকে বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন প্রহসন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সেই প্রহসনের নির্বাচন দেশের নির্বাচনী ইতিহাসের কলংকিত অধ্যায় হয়ে থাকবে।তিনি তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করার পর থেকেই সমস্ত নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় জনগণের কাছে দেওয়া ওয়াদা ভঙ্গ করতে শুরু করে।
তিনি আরো বলেন, শত শহীদের রক্তের অক্ষরে লেখা তিন জোটের রুপরেখা বাস্তবায়নে কোন পদক্ষেপ না নিয়ে- বিএনপি শহীদের রক্তের সাথে বেঈমানী করে।ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ফারুক খান, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশ-বিরোধী প্রচারণায় লিপ্ত হয়েছে বিএনপি। দেশ-বিরোধী বা মুক্তিযুদ্ধ-বিরোধী কোন ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এর দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে।তিনি বলেন, সরকারের বিরোধিতার নামে অনবরত মিথ্যাচার করছে বিএনপি। বিএনপি ১৯৯৬ সালে প্রহসনের নির্বাচন করেছিল। কোন অপকর্মকারীর ঠাঁই আওয়ামী লীগে হবে না। দল করতে হলে দলের শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। বিএনপি দিনের আলোতে রাতের আঁধার দেখতে পায়।বিএনপি সরকারের কোনো উন্নয়ন ও অর্জন দেখতে পায় না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে দুখী মানুষের মুখে হাসি ফুটানোই ছিলো জনগণের কাছে আওয়ামী লীগের অঙ্গীকার, আর সেই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে ।
শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে দলকে আরো সুদৃঢ় ও ঐক্যবদ্ধ করার আহবান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলের ঐক্যে ফাটল ধরাতে ষড়যন্ত্র চলছে, তাই এখনই ভুলক্রুটি শুধরিয়ে নিয়ে আগামীর নবতর পথযাত্রায় এগিয়ে যেতে হবে। আওয়ামী লীগের ইঞ্জিন হচ্ছে ঢাকা মহানগর, তাই এই ইঞ্জিনকে সচল রেখে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে।আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ফারুক খান বলেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক দল নয়। বিএনপি-জামাতের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তাদের ষড়যন্ত্র মেনে নেয়া হবে না।কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জনগণ বিএনপির সঙ্গে নেই। দেশে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করা যাবে না।শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছিল বিএনপি। অপশক্তিরা গণতন্ত্রের নামে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।