ফাগুনের অরুণ আলোয় ফোটে উঠা শিমুল

শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী

সুনামগঞ্জ থেকেঃ আহা, আজি এ বসন্তে এত ফুল ফুটে, এত বাঁশি বাজে, এত পাখি গায়। কবি গুরুর কবিতা যেনো স্বার্থক হয়ে উঠেছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় সীমান্তবর্তী মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত শিমুল বাগানে।ঋতুরাজ বসন্ত, সুর্যের সাথে তাল মিলিয়ে রক্তিম রঙে গাছে গাছে ফুটেছে হাজার হাজার লাল লাল শিমুল ফুল। যা পর্যটকদের মনে, ফাগুনের আগুন ঝরানো হিল্লোল দোঁলা দিয়ে শিমুল বনের রক্তরাঙ্গা সৌন্দর্য দেখতে পর্যটকদের আহবান করছে। এটি দেশের সবচেয়ে বড় শিমুল বাগান। তবে করোনা ভাইরাসের কারনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন এই শিমুল বাগানটি দেখতে আসা দর্শকদের আনাগোনা এবার অনেকটা কমে গেছে।

জানা যায়, উপজেলার মানিগাঁও এর এই শিমুলবাগে একসাথে তিন হাজার গাছ ফুলে ফুলে ভরে ওঠেছে। আর এই সময়টাই হলো সেখানে শিমুলবাগান দেখার উপযুক্ত সময়। প্রকৃতি প্রেমীদের চোখের তৃষ্ণা মেটাতে রূপবতী যাদুকাঁটা নদী আর মেঘালয়ের ঠিক মধ্যখানে ধু-ধু বালুচরে দেশের সর্ববৃহৎ এই শিমুল বাগান। ফাগুনের অরুণ আলোয় ফোটে উঠা শিমুল বাগানের এই টুকটুকে লাল ফুলগুলো দেখতে প্রতিদিন সংখ্যায় কম হলেও রয়েছেন পর্যটকরা।প্রায় ২৪০০ শতক জায়গার উপর সমান ১৪ ফুট দুরত্বে ৩ হাজার শিমুল বাগানের যেখানে দাঁড়াবেন মনে হবে আপনি বাগানের মধ্যখানে। তবে সেখানে নেই একটু বিশ্রামের জায়গা, রয়েছে যাতায়াতের নানা সমস্যা।

পর্যটন মন্ত্রনালয়ের সুদৃষ্টি কমনা সহ নানান অসুবিধার কথা জানিয়ে মনোমুগ্ধকর এই প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য্যরে কথা জানালেন পর্যটকরা।এ বিষয়ে বাগানের স্বত্তাধিকারী মোছা. সেলিনা আবেদিন, সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ সদস্য হাজী জয়নাল আবেদিনের কন্যা বলেন, দিনদিন দর্শনার্থী বৃদ্ধি পাচ্ছে। পর্যটকদের সুবিদার কথা মাথায় রেখে বিশুদ্ধ পানি, স্যানিটেশন, বিশ্রামাগারসহ নানান পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি আরো বলেন টুরিষ্ট পুলিশ নেই, দেশি-বিদেশী পর্যটকদের নিরাপত্তায় রয়েছে তাহিরপুর থানার পুলিশ। তবে এখানে যদি পর্যটকদের জন্য উন্নতমানের হোটেল ও রেস্টুরেন্ট করা যায় তাহলে আগামীতে আমাদের এই শিমুলবাগানটি হবে বিনোদনের প্রধান প্রাণকেন্দ্র।

You might also like