দেশী মাছ ধ্বংস করছে মুনাফা লোভীরা, প্রশাসন নীরব কেন জামালগঞ্জে জলমহাল সেচে মৎস্য নিধনের মহোৎসব

শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী

সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় নীতিমালা লংঘন করে সরকারি ইজারাকৃত বিল সেচের মাধ্যমে মৎস্য আহরনের মহোৎসব চলছে অভিযোগ উঠেছে। বিলের তলা শুকিয়ে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ থাকলে ও সরকারি নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে কৌশলে সাবলীজ নিয়ে মৎস্য নিধন করে দেশী মাছের বংশ ধ্বংস করছে কিছু সুবিধভোগী ক্ষমতাশালী অমৎস্যজীবিরা।নিয়ম অনুযায়ী জলমহালে (বিলের) তলা শুকিয়ে মৎস্য নিধন গুরতর অপরাধ।এমনকি ইজারা বাতিলের কথা উল্লেখ থাকলেও প্রশাসনকে বৃদ্ধ্াঙ্গুলী দেখিয়ে অদৃশ্য শক্তি ও অভিনব কৌশলে উপজেলার প্রায় প্রতিটি বিলেরই তলা শুকিয়ে মাছ নিধন করা হচ্ছে।কার স্বার্থে দেশী মাছের প্রজাতী নষ্ট করা হচ্ছে সচেতন মহলে এমন প্রশ্ন উঠেছে।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত ১ সপ্তাহেরও বেশী সময় ধরে উপজেলার ইজারাকৃত বিভিন্ন জল মহালে (বিলে) পাওয়ার পাম্প দিয়ে পানি সেচের মাধ্যমে মৎস নিধন চলছে।জলমহাল সেচের ব্যাপারে উপজেলা জুড়ে যখন সমালোচনার ঝড় বইছে ঠিক সেই মুহুর্তে ইজারাদাররা অভিনব কৌশল একেছে। তারা নিজেও কয়েকজনকে কৃষি কাজে পানি দেয়ার নামে জলমহালে দিনের বেলায় ১/২ টি পাম্প দিয়ে পানি সেচ কওে ও রাতে ওই জল মহালে (বিলে) ৪/৫ টি পানিম পাম্প দিয়ে সারা রাত পানি সেচ দিচ্ছেন। আবার ভোরে ২ টি ছোট পাম্প রেখে বাকী পাম্পগুলো সড়িয়ে নিচ্ছে।অভিযোগ উঠেছে উপজেলা সংলগ্ন দেওতান জলমহালে একটি মৎস্য সমিতি দিয়ে শাহাপুর গ্রামের ওয়াসীম মিয়া সেচ করছেন।

উপজেলার সদর ইউনিয়নের দেওথান জলমহাল, ফেঁনারবাক ইউনিয়নের লকড়ি জলমহাল, বেহেলী ইউনিয়নের পুটি বিলেও চলছে সেচ করে মৎস নিধন। জলমহালের নীতিমালা লংঘন করে মাছের বংশ ধ্বংশ করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারী করছেন না অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় প্রশাসন সহ সচেতন মানুষের চোখে ধাঁধাঁ দিয়ে নিজেদের লোকজনকে মেনেজ করে বোরো জমিতে পানি দেয়ার মত নিরেট মিথ্যা কথার আশ্রয় নিয়ে জলমহাল সেচে মাছের বংশ দ্বংশ করছে এই দুষ্কৃতকারী মাছ খেকো চক্রটি। তবে কোথাও কোথাও আবার এই অপরাধের জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে জরিমানা আদায়ও করেছে উপজেলা প্রশাসন।অনেকেই আবার বলছে সামান্য টাকা জরিমানা করলেই তাদের শিক্ষা হবে না। জেল দিলে হয়তো মোটা অংকের জড়িমানা করে আইন ও নীতিমালার প্রতি শ্রদ্ধা আসতে পারে।এ বিষয়ে দেওথান বিলের পানি সেচে মাছ ধরার চেষ্টার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে ওয়াসীম মিয়া বলেন, জমিতে পানি লাগে, তাই পানি দিচ্ছি।এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস কর্মকর্তা সুনন্দা রানী মোদক বলেন, কৃষি অফিসারকে বলা হয়েছে জমিতে পানি দিতে চাইলে তাদের সাথে সমন্বয় করে প্রয়োজন মতো পানি দিতে হবে । জলমহাল সেচের কোন নিয়ম নেই তলা শুকিয়ে মৎস্য আহরণ করলে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বজিত দেব বলেন, ইতোমধ্যে জলমহাল শুকানোর অপরাধে মোবাইল কোট পরিচালনা করা হযেছে। বিলের তলা শুকিয়ে যে কেউ মৎস্য আহরণ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

You might also like