সোমবার থেকে পর্তুগালে আবারো চালু হবে আস্ট্রেজেনেকার ভ্যাকসিন
শাহ মো: তানভীর
সত্যবাণী
পর্তুগাল থেকে: অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা নিরাপদ ও কার্যকর। এই টিকার সাথে রক্ত জমাট বাঁধার কোনো সম্পর্ক নেই। তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি (ইএমএ)।
গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ইএমএর নির্বাহী পরিচালক ইমার কুক বলেন, ‘আমাদের তদন্ত বলছে, এই টিকা নিরাপদ ও কার্যকর। পাশাপাশি করোনায় অসুস্থতা ও মৃত্যুঝুঁকি কমাতে এটি যথেষ্ট উপযোগী।’তিনি আরো বলেন, ‘তদন্তে রক্ত জমাট বাঁধার সাথে এই টিকার সম্পর্ক পাওয়া যায়নি। তবে যেসব টিকা গ্রহীতার রক্ত জমাট বাঁধার অভিজ্ঞতা হয়েছে, আমাদের তদন্ত দলের সদস্যরা বলছেন, এটা এক ধরনের বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।’
কী কারণে এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিল, তা তদন্ত করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন ইমার কুক। পাশাপাশি টিকার ডোজের অ্যাম্পুল ও প্যাকেটে এই টিকার উৎপাদন সংক্রান্ত তথ্য অন্তর্ভূক্ত করতেও অ্যাস্ট্রাজেনেকাকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
‘মনে করা যাক, আমি আগামীকাল টিকা নেব। সেক্ষেত্রে আমি নিশ্চিতভাবেই জানতে চাইব, টিকা নেয়ার পর আমার দেহে কী কী প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এই বিষয়টিই তদন্ত করবে ইএমএ । আর টিকার ডোজের সাথে এর উৎপাদন সংক্রান্ত তথ্য সংযুক্ত করে দিলে তা জনসচেতনতা বাড়াতেও ভূমিকা রাখবে।’
ইউরোপে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা নেয়ার পর কয়েকজন টিকা গ্রহীতার দেহে রক্ত জমাট বাঁধার লক্ষণ দেখা দেয়। ইইউভুক্ত দেশ এবং যুক্তরাজ্যের এক কোটি ৭০ লাখ মানুষকে এই টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে, এর মধ্যে প্রায় ৪০ জন টিকা গ্রহীতার এই অভিজ্ঞতা হয়েছে বলে জানাচ্ছে পরিসংখ্যান।এ ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর পর্তুগাল সহ ২৩টি দেশ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার ব্যবহার স্থগিত করে।
সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৩ প্রভাবশালী দেশ ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালি বলেছিল, টিকাটির প্রয়োগ ফের শুরু হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তারা ইএমএর পর্যালোচনার ফলের জন্য অপেক্ষা করবে।সেই অনুযায়ী বৃহস্পতিবার পর্যালোচনা প্রকাশ করল ইএমএ। ইতোমধ্যে জার্মানি, পর্তুগাল, ফ্রান্স ইএমএর এই পর্যালোচনা ও টিকার তথ্য সংযুক্ত করা বিষয়ক প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে।দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘কী কারণে রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা ঘটল তা উদঘাটন করা জরুরি। যদি চিকিৎসকরা এ ব্যাপারে অবহিত হন, তারা রোগীদের সচেতন ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে পারবেন।