মামুনুল হক ৭ দিনের রিমান্ডে
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা নাশকতার মামলায় হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হকের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।সোমবার (১৯ এপ্রিল) পুলিশের পক্ষে রিমান্ড চাওয়ার পর শুনানি শেষে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জর করেন ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের (সিএমএম) বিচারক দেবদাস চন্দ্র অধিকারী।এর আগে একই দিন সকালে পুলিশের কড়া পাহারায় মামুনুল হককে ডিবি কার্যালয় থেকে সিএমএম কোর্টে নেয় পুলিশ।
রবিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নজরদারিতে ছিলেন।গ্রেপ্তারের পর বেলা পৌনে ২টার দিকে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. হারুন-অর-রশিদ।তিনি বলেন, ২০২০ সালের মোহাম্মদপুর থানার একটি ভাঙচুর ও নাশকতার মামলার তদন্ত চলছিল। তদন্তে হেফাজত নেতা মামুনুলের সম্পৃক্ততার বিষয়টি সুস্পষ্ট হওয়ায় আমরা তাকে গ্রেপ্তার করেছি। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তা আপনারা সবাই জানেন।এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি হারুন বলেন, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হাটহাজারীর ঘটনার পর থেকেই তিনি নজরদারিতে ছিলেন। সবকিছু মিলিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে আপাতত মোহাম্মদপুর থানার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ করে হেফাজতে ইসলাম। মোদীর বিরোধিতায় প্রথমে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনে বিক্ষোভে সহিংসতা হয়। তার জেরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রাণঘাতী সংঘাত হয়। পরে ২৮ মার্চ হরতাল ডাকে হেফাজত, ওই হরতালকে ঘিরে নেতিবাচক পরিস্থিতি তৈরি হয় সারাদেশে।