দক্ষিণ সুনামগঞ্জে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে অগ্নিকান্ডে ঘটনায় ১০টি বসত ঘর পুড়ে ছাই
শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী
সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের টাইলা গ্রামে গ্যাস সিলিন্ডার লিক হয়ে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি বসত বাড়ি,ধানের ঘর গোয়াল ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে পুরো গ্রামে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশংঙ্কায় সাধারন মানুষের মাঝে আতংঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় টাইলা পূর্বহাটির মুক্তিযোদ্ধা মৃত মরম আলীর ছেলে বকুল মিয়ার ঘরে গ্যাস সিলিন্ডার লিক হয়ে এই আগুনের সূত্রপাত ঘটে।নিমিষেই পুরো হাটিতে আগুন ছড়িয়ে পড়লে আগুনের লেলিহান শিখা দেখে গ্রামের লোকজন ছুটে আসেন ঘটনাস্থলে।ফলে সবার মাঝে আতংঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে । ইতিমধ্যে বকুল মিয়ার বসত ঘর পাশের পছন্দর আলী তার প্রায় ৭০০ মন ধান পুড়ে গেছে ,সাজিদুর রহমানের ঘরসহ একশত মন,আলফাজ মিয়ার ঘরসহ প্রায় ৭ শত মন,ওয়াকিক মিয়ার ঘরসহ ৪ শতাধিক মন ধান,আব্দুর
রহমান,আব্দুল মতিনের ৪শত মন,আব্দুল হাসিম,গুলজার মিয়া ও রাসেল মিয়ার ঘরসহ ১০টি ঘরবাড়ি ১৮শত মন ধান,সোনা গহনাসহ প্রায় দেড়কোটি টাকার মালামাল সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। খবর পেয়ে জেলার দিরাই উপজেলা ফায়ার সাভির্সের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গেলেও সুরমা নদী পারাপারের কারণে তাদের পৌছতে কিছুটা বিলম্ব হলেও এ রির্পোট লিখা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রনে কাজ করছেন গ্রামবাসীসহ ফায়ার সর্ভিসের একটি ইউনিটের সদস্যরা।
এ ব্যাপারে টাইলা গ্রামের সুজন তালুকদার জানান,মূলত গ্যাস সিলিন্ডার থেকে এই আগুনের সূত্রপাত ঘটে এবং নিমিষেই পুরো হাটিতে ছড়িয়ে পড়লে জনমনে আতংঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের লেলিহান শিখা দেখে গ্রামবাসী ও দিরাই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে প্রায় দুই গন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হলেও এতে ১০ ঘর ধানচাল সোন গহনা সহ প্রায় দেড়কোটি কাটার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।এ ব্যাপারে টাইলা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ মো. বকুল মিয়া জানান,গ্যাস সিলিন্ডার লিক হওয়ার কারণে তার ঘরে প্রথমে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। কিছু সময়ের মধ্যেই পাশের ঘরের আরো কমপক্ষে দশটি পরিবারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে নিমিষেই আগুলের লেলিহান শিখায় সবকিছু ধবংস হয়ে গেছে। তিনি সরকার ও প্রশাসনের নিকট দাবী জানান ক্ষতিগ্রস্থদের পূর্ণবাসনের ব্যবস্থা করার জন্য।এ ব্যাপারে ঘটনাস্থলে উপস্থিত দিরাই ফায়ার সার্ভিসের লিডার মো. সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,নদী পারাপারের কারনে পৌছতে কিছুটা বিলম্ব হলেও এসে গ্রামবাসীর সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়েছেন। তবে ক্ষতির পরিমান প্রায় দেড়কোটি টাকার কাছাকাছি হবে।