‘এবার ভারতে দরকার, দিদির সরকার’

আন্তজার্তিক ডেস্ক
সত্যবাণী

ভারত: ভারতের পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর প্রথমবারের মতো দিল্লিতে পা রাখলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।আর দিল্লিতে পা রাখতেই শুরু হয়ে গেল স্লোগান।আব কি বার, দিদি সরকার’‌।খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

খবরে বলা হয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন ‘‌আব কি বার, দিদি সরকার’ স্লোগানে ছড়াছড়ি। এ থেকেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, ২০২৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে রীতিমতো কোমর বেঁধে নামছেন তৃণমূল নেত্রী।হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদীকে সামনে রেখে দেশে ও বিদেশে জোরকদমে প্রচার শুরু করেছিল বিজেপি। বিজেপির সেই পথেই এবার লোকসভা ভোটের অনেক আগে থেকেই প্রচার শুরু করে দিল তৃণমূল। এদিন দলের একাধিক নেতা, মন্ত্রী ও বিধায়করা বাংলা মডেল সারা দেশ জুড়ে প্রয়োগ করার কথা বলে টুইটারে পোস্ট করেন, হ্যাসট্যাগ ‘‌আপকি বার দিদি সরকার’‌।

মমতার দিল্লি সফরের মধ্যে এই পোস্ট রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বিজেপি বিরোধী শক্তিগুলিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে এই উদ্যোগ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। লোকসভা ভোটে মোদীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে এখন থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার এই প্লাটফর্মকে হাতিয়ার করতে চাইছে তৃণমূল।ইতিমধ্যে তৃণমূলের সংসদীয় দলের চেয়ারম্যান হিসাবে মনোনীত হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে পেগাসাস বিতর্কে সংসদের ভিতরে ও বাইরে আন্দোলনের মাধ্যমে নজর কেড়েছে তৃণমূল। তৃণমূল যে বিজেপি বিরোধিতায় ক্রমশ সামনের সারিতে উঠে আসছে তা তৃণমূল এমপিদের নানা পদক্ষেপ থেকেই স্পষ্ট। এই পরিস্থিতিতে মোদী সরকারের ওপর চাপ আরও বাড়াতে এবার সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করল ঘাসফুল শিবির।এবারে দিল্লি সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করা ছাড়াও অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা–নেত্রীদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন তৃণমূল নেত্রী। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে তার দেখা করার কথা রয়েছে। এছাড়াও এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের সঙ্গেও তার দেখা হতে পারে।

You might also like