‘আফগানিস্তানে ক্ষমতার পালাবদলে উচ্ছ্বসিত অনেকে স্বপ্ন দেখছে’

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন,আফগানিস্তানে তালেবানের পুনরুত্থানে দেশের অনেকেই উচ্ছ্বসিত হয়ে স্বপ্ন দেখছে, ষড়যন্ত্র করছে। এ দেশে কোনও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির আস্ফালন যেন আমাদের সোনালি অর্জন নস্যাৎ করতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।বুধবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যা‌লয়ে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন,মনে রাখতে হবে, এই বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ত দিয়ে অর্জন করা। ষড়যন্ত্র করে দেশে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট ঘটানো হয়েছে। এ ষড়যন্ত্রের আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। কোনও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির আস্ফালন এ দেশের অর্জিত সোনালি অর্জন নস্যাৎ করতে পাড়বে না।চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনার সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির নতুন কমিটির নেতারা শক্তির জানান দিতে স্বাস্থ্যবিধিকে চরমভাবে উপেক্ষা করে একই সঙ্গে শীর্ষ নেতৃত্বকে খুশি করতে চন্দ্রিমা উদ্যানে যাওয়। সেখানে যাওয়ার পথে তাণ্ডব, বিশৃঙ্খলা ও পুলিশের ওপর হামলা করে তারা।কাদের বলেন, বিএনপির আন্দোলন মানেই হলো ভাঙচুর। পরিকল্পনা সচিবের গাড়িটিও ভেঙে ফেলেছে। বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। মূলত আন্দোলনের নামে সহিংসতা সৃষ্টি করাই বিএনপির রাজনীতি।

বিএনপি মহাসচিবের সমালোচনা করে তিনি বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের সদস্য সচিব জসিম নামের একজন। মির্জা ফখরুল না জেনে না শুনে বিবৃতি দিয়ে দিয়েছেন— তাকে নাকি গুম করা হয়েছে, সরকার যেন তাকে খুঁজে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে এনে দেয়। অথচ দেখা গেলো কী, তিনি অস্ত্র নিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন। সেখানে অনেক কাহিনি, কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে সাপ। অস্ত্রবাজি ও অস্ত্রের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তার সাথে মহানগরের দুই-একজন নেতাও জড়িত।তিনি আরও বলেন, এই অস্ত্র ব্যবসায়ীকে তারা (বিএনপি) বলতেছেন গুম হয়েছে। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, আদালতেও তুলা। ফখরুল সাহেব অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়ে বলে দিলেন- গুম হয়েছে। আবার নিন্দা করছেন দেশ কারাগার হয়েছে। অস্ত্রবাজেরা কারাগারে না গেলে কি দেশে শান্তি হবে?আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, প্রমুখ।

You might also like