পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে এ মোমেনের বক্তব্যের অপব্যাখ্যা প্রচেষ্টার নিন্দায় বিশিষ্ট ব্যক্তিরা
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
লন্ডন: সম্প্রতি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের একটি বক্তব্যের অপব্যাখ্যা দিয়ে একটি মহল এ নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে, এমন অভিযোগ করে এর তীব্র নিন্দা করেছেন প্রবাসে বসবাসরত বিভ্ন্ন পেশায় নিয়োজিত বিশিষ্ট ব্যাক্তিরা।
প্রবাসী নাগরিক, পেশাজীবী, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, আইনজীবী ও শিক্ষাবিদদের এই বিশিষ্ট গ্রুপটি বলছেন, ‘বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও উন্নয়ন বিরোধী একটি বিশেষ চক্র নিজেদের হীন উদ্দেশ্য হাসিলের লক্ষ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ, কে, আব্দুল মোমেন-এর বক্তব্যের এমন অপব্যাখ্যা করে জনমনে বিশেষ করে প্রবাসীদের মধ্যে এই বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
যুক্ত বিবৃতিতে বিশিষ্টজনরা বলেন, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সিলেটের কৃতি সন্তান, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব ও কূটনীতিক ড. এ. কে. আব্দুল মোমেনের একটি বক্তব্যের অপব্যাখ্যা করে সম্প্রতি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও উন্নয়ন বিরোধী একটি বিশেষ চক্র প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভ্রান্ত করে তাদের হীন উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য সোস্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সংঘবদ্ধভাবে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী, যিনি নিজেও দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন এবং যার ফলে তাঁর হৃদয়ে প্রবাসীদের জন্য অনন্য এক স্থান রয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে এই হীন অপপ্রচার অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমরা এই অপপ্রচারের তীব্র প্রতিবাদ এবং এই বিশেষ চক্রের মিথ্যাচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য প্রিয় প্রবাসী ভাই-বোনসহ দেশবাসী সবাইকে সবিশেষ অনুরোধ জানাই।’
ড. মোমেন সম্প্রতি তাঁর আলোচিত বক্তব্যে একজন সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন “বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর ফলে বৈশ্বিক মন্দা দেখা দিলে ১০-১৫ লক্ষ প্রবাসী যদি বাংলাদেশে ফেরত আসেন তাহলে দেশে অভাব বাড়বে, সামাজিক সমস্যা দেখা দেবে, বিশংখলা দেখা দেবে এবং এর ফলে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হবে”। তিনি এও বলেছিলেন, “আমি মনে করি আমাদের প্রবাসীরা অনেক সচেতন। তারা এই সময়ে এভাবে দেশে আসবেন না”।
বিবৃতিদাতারা বলেন, ‘প্রকতৃপক্ষে মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী কখনো কোনো ভাবেই প্রবাসীদের অসম্মান করে বা তাদের অবদানকে খাটো করে কোন বক্তব্য দেননি। কিন্তু যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা চক্রান্তে লিপ্ত, মূলত তারাই প্রবাসে বাঙালিদের মধ্যে অনৈক্য ও অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য এহেন অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা প্রবাসের শতাধিক নাগরিক মনে করি এই ষড়যন্ত্রকারীরা উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রবাসীদের হেয় করার উদ্দেশ্যে অসত্য, মিথ্যা ও বানোয়াট অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা যুক্তরাজ্যসহ প্রবাসী বাংলাদেশিরা এই গোষ্ঠীর অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি’।
বিশিষ্টজনরা বলেন, ‘ড. আব্দুল মোমেন প্রবাসী-বান্ধব সরকারের একজন প্রবাসী-বান্ধব পররাষ্ট্রমন্ত্রী। গত দেড় বছরে একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তাঁর অবদান অবশ্যই প্রশংসনীয়। সকলেই অবগত আছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তিনি প্রবাসীদের কল্যাণে ও উন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছেন-যার সুফল প্রবাসীরা নানাভাবে পেতে শুরু করেছেন। তাঁর বিশেষ উদ্যোগেই প্রবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবী সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট লন্ডন সহ সারা বিশ্বে ওঠা-নামার জন্য ১২ হাজার কোটি টাকার বিমানবন্দর রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে। সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার সিলেট-ঢাকা সড়ক চারলেনে উন্নীতকরনের বিশাল জাতীয় প্রকল্পও বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। এছাড়া তিনি বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীদের কল্যাণে অনেক বিশেষ কার্যক্রম ও পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন।’
বিবৃতিদাতারা আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের সবার প্রিয় ও প্রবাসী-বান্ধব পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডঃ আবদুল মোমেন সকল অসত্য অপপ্রচার পেছনে ফেলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের আধুনিক সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ গঠনে এগিয়ে যাবেন, এমনটিই আমাদের বিশ্বাস।’
যৌথ বিবৃতিতে যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন, প্রবীন সাংবাদিক ও সাহিতিক আব্দুল গাফফার চৌধুরী, ব্রিটেনে মুক্তিযুদ্ধের প্রবীন সংগঠক, জাতির পিতা বঙ্গন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মশত বার্ষিকী নাগরিক কমিটি, যুক্তরাজ্যের এক্সিকিউটিভ কনভেনর, সুলতান মাহমুদ শরীফ, সদস্য সচিব সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, সীমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদ ওবিই, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব তোজাম্মেল হক এমবিই (টনি মিয়া), দ্যা রেডফোর্টের স্বত্বাধিকারী, ব্যবসায়ী আমীন আলী (লন্ডন), ব্রিটিশ বাংলাদেশী চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট বশির আহমেদ, সংগঠনের চীফ এডভাইজর শাহগীর বখত ফারুক, কনজারভেটিভ ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশের পেট্রন মুকিম আহমেদ, এশিয়ান ক্যাটারিং ফেডারেশনের ও এশিয়ান কারী এওয়ার্ডের চেয়ারম্যান ইয়াওর খান, ব্রিটিশ বাংলাদেশী ক্যাটারার্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সেলিম চৌধুরী, চ্যারিটি সংস্থা আপাসান্থ এর সিইও মাহমুদ হাসান এমবিই, শিক্ষাবিদ ডঃ আবদুল হান্নান (লন্ডন), লন্ডন সিটি কাউন্সিলের এসেম্বলী মেম্বার
মুরাদ কোরেশী, সাবেক কাউন্সিলর মুক্তিযোদ্ধা খলিল কাজী ওবিই, ইউনিভার্সিটি অব অস্ট্রেলিয়ার অধ্যাপক ডঃ তুষার কান্তি দাশ, ইউনিভার্সিটি অব সাউথ আলাবামা, ইউএসএ’র এসোসিয়েট প্রফেসার ডঃ এম দেলোয়ার হোসেন আলী, লন্ডন কিংস কলেজের এসোসিয়েট প্রফেসার এম জসীম আলী চৌধুরী, সাউথ ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, চায়নার পিএইচডি রিসার্চার কে এম বদরুল আলম, লন্ডন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির লেকচারার ডঃ কবিরাজ সানপায়ানা, ডাঃ ইমরুল কায়েস (লন্ডন),
ডাঃ মোখলেসুর রহমান, লন্ডন কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালের ডাঃ বিশ্বজিত রায়, জিপি ডাঃ নূরুল কবির, সাইকিয়াট্রিষ্ট
ডাঃ সুপ্রিয় রায়, মিডওয়ে মেরিটাইম হাসপাতাল, লন্ডনের ডাঃ কালিপদ মজুমদার, জিপি ডাঃ রাজীব হোসেন লতিফ, এনএইচএস ইংল্যান্ডের মেডিসিন স্পেশালিষ্ট ডাঃ গোলাম রাহাত খান, লন্ডন বারা অব টাওয়ার হ্যামলেটসের কাউন্সিলর আবদুল মুকিত (চুনু) এমবিই, ক্রয়ডনের কাউন্সিলর শেরওয়ান চৌধুরী, কাউন্সিলর বাদশা কাদির, ওয়েষ্টমিনিষ্টারের কাউন্সিলর আবদুল আজিজ তকী, কাউন্সিলর পাপিয়া কোরেশী, নিউহ্যামের
কাউন্সিলর জসীম উদ্দিন, বার্মিংহামের
কাউন্সিলর সাদাক খান, বার্কিংয়ের
কাউন্সিলর মঈন কাদরী ও
কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন মিয়া, সোয়ানসির
কাউন্সিলর সালেহ আহমেদ, উইনজরের
কাউন্সিলর শামসুল ইসলাম সেলিম, কভেন্ট্রির
কাউন্সিলর সলিসিটর মায়া আলী ও কেমডেনের
কাউন্সিলর নাজমা রহমান, মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুর রহমান খান, আজিজুল কামাল
লোকমান হোসেন, দেওয়ান গৌস সুলতান,
ইঞ্জিনিয়ার মিফতাহুল ইসলাম, লিমন চৌধুরী, জিয়াউল ইসলাম মাহতাব, আবদুল হামিদ,
ক্যাপ্টেন (অবঃ) ফারুক আহমদ, হাবিব হাওলাদার, এম আব্দুল হাদি, বদর উদ্দিন আহমদ ও আফতাব উদ্দিন নাসির,
সিনিয়র সাংবাদিক ও মুক্তিযোদ্ধা আবু মুসা হাসান, ডেইলী স্টারের লন্ডন করেসপন্ডেন্ট
আনসার আহমেদ উল্লাহ, সত্যবাণীর সম্পাদক সৈয়দ আনাস পাশা, এনএনবি’র মতিয়ার চৌধুরী, ব্রিটবাংলার নির্বাহী সম্পাদক আহাদ চৌধুরী বাবু, চ্যানেল এইট ও লন্ডন টাইমসের সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ, বাংলা পোষ্টের
বাবুল হোসেন, সত্যবাণীর বার্তা সম্পাদক
নিলুফার হাসান, কালের কন্ঠের লন্ডন করেসপন্ডেন্ট জুয়েল রাজ ও ডিবিসি টেলিভিশনের জুবায়ের আহমেদ, আইনজীবী ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন, ব্যারিস্টার আলমগীর হোসেন, ব্যারিস্টার মনিরুল ইসলাম মঞ্জু, ব্যারিস্টার এনামুল হক, ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেন, ব্যারিস্টার সঞ্জয় কুমার রায়, ব্যারিস্টার বাহার এম তৌহিদুল ইসলাম, ব্যারিস্টার চৌধুরী হাফিজুর রহমান, ব্যারিস্টার সিদ্দিকুর রহমান রাসেল, ব্যারিস্টার মিজানুর রহমান, ব্যারিস্টার ইমরান কবির চৌধুরী, ব্যারিস্টার ইকবাল মোর্শেদ, ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান তালুকদার, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ শাফি, ব্যারিস্টার আবুল কালাম চৌধুরী, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ দোলা মিয়া, ব্যারিস্টার নিজামুল হক, ব্যারিস্টার চৌধুরী জিন্নাত আলী, সলিসিটর মায়া আলী, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ গনি উল্লাহ, সলিসিটর এম কামরুল হাসান, সলিসিটর মাহফুজুর রহমান এবং সলিসিটর জাগির আলম প্রমূখ।