মিয়ানমারে মার্কিন সাংবাদিককে ১১ বছরের কারাদণ্ড
আন্তজার্তিক ডেস্ক
সত্যবাণী
মিয়ানমার: মিয়ানমারে বন্দি যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক ড্যানি ফেনস্টারকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির সামরিক আদালত।তার বিরুদ্ধে আনা তিনটি অভিযোগ হল, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জনমত উসকে দেওয়া, বেআইনি সম্পৃক্ততা ও অভিবাসন আইন লঙ্ঘন।ফেনস্টারের এই রায়ের প্রতিক্রিয়ায় ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমারের এডিটির-ইন-চিফ থমাস কিন জানিয়েছেন, “যেসব অভিযোগে ড্যানিকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তার কোনও ভিত্তি নেই। কারাদণ্ডের এই রায়ে ফ্রন্টিয়ারের সবাই খুবই হতাশ। আমরা তার দ্রুত মুক্তি চাই যেন তিনি পরিবারের কাছে যেতে পারেন।”ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমার নামে ওই অনলাইন ম্যাগাজিনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হিসেবেই দায়িত্বে আছেন ড্যানি ফেনস্টার।
তাকে দেওয়া কারাদণ্ডকে ‘আইনের অধীনে যতটা সম্ভব কঠোর’ বলে আখ্যায়িত করেছে ম্যাগাজিনটি।এর আগে গত মে মাসে মিয়ানমার ছাড়ার সময় ইয়াঙ্গুন বিমানবন্দর থেকে ড্যানি ফেন্সটারকে আটক করে দেশটির সামরিক সরকার। এরপর থেকেই কারাগারে বন্দি আছেন তিনি।চলতি বছরের ১ ফেব্রয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সুচির নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী।
রক্তপাতহীন এই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লেইং। এরপর থেকেই অং সান সুচি ও তার দল এনএলডির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা বর্তমানে গৃহবন্দি বা কারাবন্দি অবস্থায় আছেন।মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশটির গণতন্ত্রপন্থি মানুষের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি সাংবাদিকেরাও দমনপীড়ন, হামলা, মামলা ও গ্রেফতারের শিকার হচ্ছেন। এ অবস্থায় বেশকিছু সাংবাদিক গ্রেপ্তার হয়েছেন দেশটির সামরিক বাহিনীর দ্বারা।চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ক্ষমতা দখলের পর এপ্রিল মাসে জাপানের এক সাংবাদিককে আটক করে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। পরে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।এর আগে মার্চ মাসে বিবিসির এক সাংবাদিককে স্বল্প সময়ের জন্য আটক করা হয়। তার আগে পোল্যান্ডের এক ফটো সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়। তবে মার্চে তাকেও মুক্তি দেওয়া হয়।সূত্র: বিবিসি