ছাত্রনেতা থেকে চিলির প্রেসিডেন্ট বোরিক
আন্তজার্তিক ডেস্ক
সত্যবাণী
চিলি: বামপন্থী এই রাজনীতিক সরকারবিরোধী আন্দোলন করে খ্যাতি অর্জন করেন। আন্দোলন-সংগ্রামে যুক্ত হয়ে পড়াশোনাও শেষ করতে পারেননি। এখন তিনিই হতে যাচ্ছেন চিলির ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ প্রেসিডেন্ট।আল-জাজিরা ও গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, চিলির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন গ্যাব্রিয়েল বোরিক। নির্বাচনে বামপন্থী আদর্শের অনুসারী বোরিক ৫৬ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ৪৪ শতাংশ ভোট। প্রায় ৯৯ শতাংশ ভোটকেন্দ্রের ফলাফলে এমনটাই দেখা যাচ্ছে।
চিলির নির্বাচনে ডানপন্থী রক্ষণশীল নেতা জোসে অ্যান্তোনিও কাস্ত পরাজিত হয়েছেন রোরিকের কাছে। আগামী মার্চে চিলির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন তিনি। ছাত্র থাকাকালেই অধিকার আদায়ের আন্দোলনে সফলভাবে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন গ্যাব্রিয়েল বোরিক। পড়াশোনা শেষ না করলেও রাজনীতির ময়দানে সফলতা দেখিয়েছেন বোরিক। ২০১৩ সালে তিনি চিলির কংগ্রেসে নির্বাচিত হন এবং দুই মেয়াদে ডেপুটি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।বোরিক চিলিতে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করতে চান, চিলিকে কল্যাণমূলক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চান। পাশাপাশি পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ভাগ্য উন্নয়নে রাষ্ট্রীয় বরাদ্দ বাড়াতে চান। অগাস্তে পিনোশে যে একনায়কত্ব কায়েম করেছিলেন সেই জায়গা থেকে দেশকে বের করে আনতে চান। চিলিতে অর্থনৈতিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে বেশ কয়েক মাস বিক্ষোভ চলে। এরপর প্রথমবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট হলো। এ ভোটের কারণে অবশেষে সংবিধান সংস্কারের পথ তৈরি হয়েছে।