গণতন্ত্র আর মানবাধিকারেরই জন্য বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
সিলেটঃ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন,গণতন্ত্র আর মানবাধিকারের জন্যই বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। তিনি আজ রবিবার দুপুরে সিলেটে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দেয়া চিঠির বিষয়বস্তু সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এগুলো এ রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি,তাই বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অভিজ্ঞতা অনেক পুরনো।সম্প্রতি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর বর্তমান-সাবেক কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষিতে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে গত ৩১ ডিসেম্বর খ্রিস্টীয় ২০২২ সনের নববর্ষ উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠি পাঠান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনা করার আহ্বানের জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এপ্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে তার ফোনালাপ হয়েছে। তিনি বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে তার সরকারের উদ্বেগের কথা জানিয়েছিলেন। ড. মোমেন তার চিঠিতে লেখেন ,‘ আমাদের এখানে গণতন্ত্র চর্চা আজকের না। যখন আমেরিকা আবিষ্কৃত হয়নি, সেই ছয় শতকেও এই অঞ্চলে গণতন্ত্র ছিল, যদুকে জনগণ ম্যান্ডেট দিয়ে নির্বাচিত করেছিলো। ফলে গণতন্ত্রের অভিজ্ঞতা আমাদের অনেক পুরনো। আর আমাদের দেশের জন্মই তো গণতন্ত্রের জন্য হয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘র্যাবের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের যে অভিযোগ তা অমূলক। বাংলাদেশে ১০ বছরে ৬শ’ জন নিখোঁজের অভিযোগ তোলা হলেও আমেরিকাতে প্রতি বছর লক্ষাধিক মানুষ নিখোঁজ হচ্ছে এবং পুলিশি কারণে হাজারো মানুষ মারা যাচ্ছে। এসব নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলছে না। তাদের গুলোকে বলা হয় লাইন অব ডিউটি। অথচ এখানকার সামান্য কিছু ঘটনা নিয়ে অনেক কথা হয়। বলা হয় ‘এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং’। এসব হাসির খোরাক ফলে আমার মনে হয় তাদের নিষেধাজ্ঞা সঠিক হয়নি। এটি পুনর্বিবেচনার সুযোগ আছে।চিঠিতে এ কথাই লিখেছি’। তিনি বলেন, র্যাব বাংলাদেশে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ রোধে সফলতা দেখিয়েছে । চিঠিতে সন্ত্রাস, আন্তঃ রাষ্ট্রীয় অপরাধ দমনে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগ ও কর্মকান্ডের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।এরআগে রোববার দুপুরে নগরীর কুমার পাড়ায় এনজিও সংস্থা জমজম এর প্রধান কার্যালয় উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে মোমেন।