ইউক্রেনের অচলাবস্থার মধ্যে রাশিয়া কূটনীতির দরোজা উন্মুক্ত করেছে
আন্তজার্তিক ডেস্ক
সত্যবাণী
মস্কো: ইউক্রেনের গভীরতর অচলাবস্থা কাটাতে রাশিয়া সোমবার কূটনৈতিক সমাধানের জন্য দরোজা খুলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা বিশ্বাস করে যে ভøাদিমির পুতিন এখনও সাবেক সোভিয়েত দেশটি আক্রমণ করার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি।ওয়াশিংটনের উচ্চ সতর্কতা এবং একজন শীর্ষ কর্মকর্তা আগ্রাসনের হুমকিকে “আগের চেয়ে আরো বাস্তব” বলে অভিহিত করেছেন।এ অবস্থায় যদিও রাশিয়া বলেছে তারা কিছু সামরিক মহড়া শেষ করেছে, যা সম্ভাব্য সংকট সহজ করার আভাস দিচ্ছে।
ইউক্রেন সীমান্তে জড় হওয়া রুশ সৈন্যরা এই সপ্তাহে ইউক্রেনে একটি বড় ধরণের আক্রমণ চালাতে পারে- এমন আশঙ্কার মধ্যে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ মঙ্গলবার মস্কোতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সাথে আলোচনার জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন, পূর্ণ মাত্রায় সংঘাত এড়ানোর চেষ্টায় ইউরোপীয় নেতাদের ধারাবাহিক সফরের এটি ছিল সর্বশেষ উদ্যোগ। পূর্ববর্তী সফরকারী নেতাদেরকে রুশ নেতা এবং তার শীর্ষ সহযোগিরা এই সংক্ষিপ্ত বার্তা দিয়েছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিম ইউরোপ মস্কোর ন্যায়সংগত নিরাপত্তা উদ্বেগকে উপেক্ষা করায় এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে।কিন্তু পুতিন এবং তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের মধ্যে সোমবারের বৈঠকে সতর্কতার সাথে তাদের অবস্থান পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তারা জোর দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেন বিষয়ে পশ্চিমাদের সঙ্গে একটি চুক্তির “সুযোগ সব সময়ই ছিল”।
তিনি (ল্যাভরভ) পুতিনকে বলেন, ইউরোপীয় এবং ওয়াশিংটনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ে দেখা গেছে, রাশিয়ার লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে অগ্রগতির যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
“আমি এই আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেব” ল্যাভরভের টেলিভিশনে দেয়া এই মন্তব্যে পুতিন “ঠিক আছে” বলে সম্মতি দিয়েছেন।জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস জোর দিয়ে বলেছেন, ‘কূটনীতির কোন বিকল্প নেই’ এবং তিনি সতর্ক করে বলেন, সংঘাতের পক্ষে এ ধরণের পন্থা পরিত্যাগ করা “খাদের মধ্যে ঝাঁপ” দেয়ার সমান।কূটনৈতিক সমাধানের পক্ষে রাশিয়ার বক্তব্যকে কেউ কেউ উত্তেজনা হ্রাসের ইঙ্গিত মনে করছেন, পেন্টাগন বলেছে, ইউক্রেনের উত্তর সীমান্তে মস্কোর এখনো ১ লাখের বেশী সৈন্য মোতায়েন রয়েছে। পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ওয়াশিংটন এখনও বিশ্বাস করে না যে মস্কো আক্রমণ করবে কিনা সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা তাদের কিয়েভ দূতাবাসকে পশ্চিমাঞ্চলীয় লভিভে শহরে স্থানান্তর করেছে।