শান্তিগঞ্জ বন্যার ছোবল ডুবেছে রাস্তা-ঘাট ঘর-বাড়ি

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে শান্তিগঞ্জ উপজেলায় দ্রুত গতিতে বাড়ছে পানি৷ বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হওয়ায় নতুন করে পানিতে ভাসছে গ্রামের পর গ্রাম। দেখা দিয়েছে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা। একের পর এক দুর্যোগ দিশেহারা করে দিয়েছে হাওর পাড়ের মানুষদের। বসতবাড়িতে পানি উঠে চরম বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। পানিবন্দী মানুষের মাঝে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে।পাহাড়ি ঢলের সাথে সমালতালে ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় পানি হু হু করে বাড়ছে। ফলে নিম্নাঞ্চল ইতিমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে। শুক্রবার (২০মে) বিকেল পর্যন্ত বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়ে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। নিরাপদ আশ্রয়ের আশায় ছুটছেন বানভাসীরা। ধান, গবাদি পশু যেন গলারকাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে বন্যার্তদের। উপজেলার বেশ ক’টি ইউনিয়নে পানি বেড়ে যেয়ে উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
উপজেলার বাসিন্দারা জানান, অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলের পানি দ্রুত গতিতে ঢুকছে। এতে উপজেলার সবকটি ইউনিয়ন পানিতে প্লাবিত হয়েছে। রাস্তাঘাট ও বাড়িঘরে পানি উঠে আতঙ্কের মাঝে রয়েছি।
পানিবন্দী একাধিক ব্যক্তি জানান, বসতঘরে পানি উঠে গেছে। জরুরি কাজ থাকা সত্ত্বেও কোথাও বের হওয়া যাচ্ছে না। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় নৌকা দিয়ে পার হতে হচ্ছে। পরিস্থিতি খুব খারাপ। যেভাবে পানি বাড়ছে তাতে এই দুর্যোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় নাই।উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নূর হোসেন এই দুর্যোগ মুহুর্তে সবাইকে সতর্ক থাকার পাশাপাশি যেকোন প্রয়োজনে যোগাযোগ করার আহবান জানিয়েছেন।
এদিকে, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকলকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বন ও সতর্ক অবস্থানে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ইউএনও আনোয়ার উজ জামান। তিনি বলেন, সার্বক্ষণিক বন্যা পরিস্থিতির খবরাখবর রাখছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার ও ত্রাণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রত্যেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে বন্যার তথ্য দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত আছে, যাদের বাড়িঘর পানিতে ডুবেছে তাদের দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে।

You might also like