দুই সিনিয়র মন্ত্রীর পদত্যাগ: বেকায়দায় বরিস
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
লন্ডন: মন্ত্রীসভার দুই সিনিয়র সদস্যের পদত্যাগে বেকায়দায় পড়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সরকারের অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাবিদ প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে মঙ্গলবার তাদের পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
ঋষি সুনাক বলেন, ‘কয়েকজন পুরুষকে অশালীনভাবে স্পর্শ করার বিষয়ে অভিযুক্ত টোরি এমপি ক্রিস পিঞ্চার সম্পর্কে ২০১৯ সাল থেকেই বরিস জানতেন, এই বিষয়টি অস্বীকার করার পর বরিসের নেতৃত্বাধীন সরকারে থাকা হবে বিবেকহীন কাজ’। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদের পদত্যাগের পর পদত্যাগ করা চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক আরও বলেন, ‘জনগণের প্রত্যাশা হলো সরকার সঠিক ও দক্ষতার সঙ্গে পরিচালিত হবে। জনগনের প্রত্যাশা অনুযায়ী দায়িত্ব পালনে সরকার পরিচালনার মানদন্ডগুলো বজায় রাখা রাজনীতিবিদদের নৈতিক দায়। এই মানদন্ডগুলোর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থেকেই আমি পদত্যাগ করছি। হয়তো এটিই আমার শেষ মন্ত্রিত্ব হতে পারে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ বলেছেন, বর্তমান সময়ে মিঃ জনসন জাতিকে নেতৃত্ব দিতে অক্ষম। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে তিনি বলেন, ‘বিবেকের দিক থেকে তিনি আর এই সরকারে কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন না’। বরিস জনসনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনার নৈতিকতা ও মূল্যবোধে শুধু আপনি নন, আপনার সহকর্মী, দল এবং শেষ পর্যন্ত দেশেরও প্রতিফলন ঘটে’। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, ‘এটা আমার কাছে পরিষ্কার যে, আপনার নেতৃত্বে এই পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হবে না, তাই আমি আপনার উপর আর আস্থা রাখতে পারছিনা’।
রক্ষণশীল এমপি অ্যান্ড্রু ব্রিজেন, স্কাই নিউজকে বলেছেন, ‘মন্ত্রীদের আজ সকালে মিডিয়াকে বলার জন্য ব্রিফ করা হয়েছিল যে প্রধানমন্ত্রী মিঃ পিঞ্চারের বিরুদ্ধে পূর্ববর্তী অভিযোগ সম্পর্কে কিছু জানতেন না।’ তিনি বলেন, ‘আমি এবং দলের অনেকেরই দৃঢ় ধারণা যে, মিঃ জনসন গ্রীষ্মের ছুটিতেই চলে যাবেন’।
প্রধানমন্ত্রীর পর সরকারের সবচেয়ে সিনিয়র ব্যক্তি হিসেবে, মি: সুনাকের পদত্যাগ বরিস জনসনের জন্য একটি বড় আঘাত।
অবশ্য কিছু এমপি’র ধারণা যে, ঋষি সুনাক ও সাজিদ জাবিদ দলীয় নেতার পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করার জন্য পদত্যাগ করেছেন। কারণ তারা বিশ্বাস করেন যে মিঃ জনসনকে পদত্যাগ করতে হবে। যদিও প্রধানমন্ত্রী আগের বার জোর দিয়েছিলেন যে তিনি থাকবেন।
ছবি: স্কাই নিউজ