বন্যার্ত মানুষের কল্যাণে কাজ করছে সেনাবাহিনী:জিওসি মেজর জেনারেল হামিদুল হক

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ বিয়ানীবাজারে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পিছিয়ে পড়া মানুষের সাথে ঈদ আনন্দ উদযাপন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এ লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে গত ১১ জুলাই সোমবার দুপুরে শেওলা ইউনিয়নের চারাবই এলাকার ২ শতাধিক মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী ও কোরবানীর পশুর মাংস বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি পানিবাহীত নানা রোগের ফ্রি চিকিৎসা ও ওষুধ প্রদান করা হয়।বন্যার্ত মানুষের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে ছুটে আসেন, সিলেট ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল হামিদুল হক এনএসডব্লিউসি পিএসসি। তাঁকে কাছে পেয়ে খুব খুশি হন সেখানে উপস্থিত বিভিন্ন ধর্মের বিপুল সংখ্যক নারী-পুরুষ। এ সময় এরিয়া কমান্ডার হামিদুল হক তাদের সাথে কুশলাদি বিনিময় করেন এবং পরিবারের খোঁজখবর নেন।
পরে তিনি বানভাসি মানুষের মধ্যে গরুর মাংস ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। এ সময় কয়েকজন সনাতন ধর্মাবলম্বী উপস্থিত হওয়ায় জিওসি তাৎক্ষণিক তাদেরকে খাদ্যসামগ্রীর পাশাপাশি মোরগ ক্রয়ের জন্য নগদ টাকা প্রদান করেন। তাঁর এই কর্মকা- উপস্থিত সুধীমহলে বেশ প্রশংসিত হয়েছে।

এদিকে, ত্রাণ বিতরণ শেষে জিওসি মেজর জেনারেল হামিদুল হক এনএসডব্লিউসি পিএসসি গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশ সরকার ও সেনাসদর দপ্তরের নির্দেশে সেনাবাহিনী বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। এ বাহিনীর প্রতি দেশের মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থন ও বিশ্বাস রয়েছে। এজন্য আমরা নিষ্ঠার সাথে পানিবন্দী মানুষকে উদ্ধার, তাদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী পৌছে দেয়া এবং চিকিৎসা ও ঔষধ দিচ্ছি। এছাড়া পানি নামার সাথে সাথে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামত করে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করতে সেনাবাহিনী কাজ করছে। এক্ষেত্রে সরকারের প্রশাসন-যন্ত্র সহযোগিতা দিচ্ছে।অপর এক প্রশ্নের জবাবে জিওসি বলেন, বন্যার শুরু থেকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ব্যাপক ত্রাণ তৎপরতা শুরু করা হয়। পরবর্তীতে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থা এতে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছে। তিনি বলেন, বন্যার্তদের সাথে সেনাবাহিনীর ঈদ ভাগাভাগি করাটাকে বেশ উপভোগ করছি। এতে সাধারণ মানুষও খুশি হচ্ছেন।

তিনি বলেন, বন্যা পরবর্তী সময়ে পুনর্বাসন কাজে যুক্ত থাকবে সেনাবাহিনী। কঠিন এ দুঃসময় কাটিয়ে উঠতে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও পৃষ্ঠপোষকতা জরুরি বলেও মন্তব্য করেন মেজর জেনারেল হামিদুল হক। তিনি গণমাধ্যমকর্মীসহ দানশীল কাজে জড়িত সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ এবং দু’হাত আরো প্রসারিত করার আহ্বান জানান।এ সময় উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর ৩৬০ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিজানুর রহমান এনডিসি পিএসসি, কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জামান এসপিপি এএফডব্লিউসি পিএসসি, ভারপ্রাপ্ত কর্নেল এডমিন লে. কর্নেল মুহসিনুল কবির, ১৭ মিলিটারি পুলিশের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল ফায়েজুল আরেফিন পিএসজি, কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল আবু সাইদ আকন্দ পিএসসি ১৩ ইবি, ভারপ্রাপ্ত জিএসও-২ (ইন্ট) মেজর মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেড মেজর নাসের উদ্দিন খান পিএসসি, ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন সাদি আফরোজ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আশিক নূর, থানার ওসি হিল্লোল রায় প্রমুখ।এদিকে, সেনাবাহিনী পরিচালিত স্বাস্থ্য ক্যাম্প তত্ত্বাবধানে ছিলেন মেজর ডা. ফারাবী এএমসি।

You might also like