সয়াবিন তেলের দাম কমার প্রভাব নেই সিলেটের বাজারে

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ লিটারে ১৪ টাকা কমার পরও সয়াবিন তেলের বাজারে অস্থিরতা কাটছে না। ব্যবসায়ীরা যে যেভাবে পারছে সেভাবেই তেলের দাম নিচ্ছে।৭ দিন আগে তেলের দাম কমানোর ঘোষণা দেয় সরকার। রোববার সিলেটের বিভিন্ন পাইকারি বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, দাম কমানোর সিদ্ধান্ত কোথাও কার্যকর হয়নি।আন্তর্জাতিক বাজারে বেশি দামের অজুহাতে ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (মিল মালিক) সয়াবিন তেলের দাম কয়েক দফা বাড়িয়েছে। এক লাফে প্রতি লিটারে ৩৮ টাকা বাড়ানো হয়েছে। বাধ্য হয়ে বিশ্ববাজারে কমলে গত রোববার লিটারে ১৪ টাকা কমানোর ঘোষণা দেয় সরকার ও মিল মালিকরা।

সিলেটের ছোটখাটো দোকান থেকে শুরু করে বড় বড় বাজার ও পাইকারি বাজার সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বিক্রেতারা যে যার মতো দামে তেল বিক্রি করছেন। বিক্রেতারা এখনো আগের দামেই রূপচাঁদা ৫ লিটার তেল ৯৩০ থেকে ৯৮০ টাকা, ২ লিটার ৩৮০ ও এক লিটার ১৯৫ টাকা বিক্রি করছে ভোক্তাদের কাছে। তবে পাইকারি বাজারে নতুন দামের তেল শনিবার পর্যন্ত সিলেটে পৌছায়নি বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
নগরীর বন্দরবাজারে সওদা নিতে আসা সোহেল আহমদ বলেন, সরকার যখন তেলের দাম বাড়ায়, তখন ব্যবসায়ীরাও সাথে সাথে দাম বাড়িয়ে দেন। সেকেন্ডের ব্যবধানে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়। তখনতো আর ব্যবসায়ীরা বলেন না, নতুন মাল সরবরাহ করলে বাড়তি দামে বিক্রি করা হবে। তখন তো মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা স্টক করা পণ্যের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করেন। তাহলে এখন কেন অজুহাত দেখিয়ে সয়াবিনের দাম কমানো হচ্ছে না।

টুকেরবাজারে সয়াবিন কিনতে আসা আব্দুল গফুর বলেন, দাম কমেছে ঠিকই। আমরা কমে কিনতে পারছি না। তাহলে দাম কমে লাভ কি। ক্রেতারা বলছেন, দাম কমার সাথে সাথে বাজার মনিটরিং করা জরুরী। ঠিক মতো অভিযান পরিচালনা করা হলে তবেই ব্যবসায়ীরা সঠিক দামে জিনিসপত্র বিক্রি করবেন। নতুবা, ভোক্তাদের ভোগান্তি রয়েই যায়।এদিকে সিলেটের প্রধান পাইকারি বাজার কালীঘাটে এখনো নতুন নির্ধারিত মূল্যের সয়াবিন সরবরাহ হয়নি বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।বাংলাদেশ এডিবল অয়েল (রূপচাঁদা তেল) সিলেটের পরিবেশক সিলেট ভোগ্যপণ্য পরিবেশক গ্রুপের সাবেক সভাপতি হুরায়রা ইফতার হোসেন জানান, তাঁর নিজের কাছে বিপুল পরিমাণ আগের দামের সয়াবিন রয়েছে। তিনি কোম্পানীকে বলেছেন আগের দামের সয়াবিন ফিরিয়ে নিতে। এর জন্য দুই দিন সময় বেধে দিয়েছেন। এরমধ্যে ফিরিয়ে না নিলে তাকে বর্তমান দামেই বিক্রি করতে হবে। তিনি জানান, অনেকের কাছে স্টক রয়েছে। যারা বিপাকে আছেন। এছাড়া নতুন মুল্যের সয়াবিন এখনো সিলেটে সরবরাহ হয়নি বলে জানান তিনি। তিনি ভোক্তা অধিকারের লোকজনও নতুন দামে সয়াবিন বিক্রির জন্য কথা বলেছেন বলে জানান। তিনি বলেন, কোম্পানী সেক্রিফাইস না করলে হয়তো ব্যবসায়ীদেরই এই ক্ষতি মেনে নিতে হবে।

You might also like