কানাইঘাটে এএসপি ওসিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ সিলেটের কানাইঘাট থানার এএসপি সার্কেল আব্দুল করিম, ওসি তাজুল ইসলাম ও সাব-ইন্সপেক্টর মোক্তার আলীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে অভিযোগ দিয়েছেন বিষ্ণুপুর গ্রামের আলীম উদ্দিন। ভূমিখেকোদের সঙ্গে আতাত করে ‘গায়েবী’ ঘটনায় চার্জশিট প্রদান করায় তিনি এ অভিযোগ করেন। একই সঙ্গে তার দায়ের করা অভিযোগের ব্যাপারে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে দাবি করেন আলীম উদ্দিন।সম্প্রতি দাখিল করা এ অভিযোগে আলীম উদ্দিন জানান, কানাইঘাট উত্তরবাজারে তাদের মালিকানাধীন ৬ ডিসিমেল জমি দখলে নিয়ে বাসা নির্মাণ করছিলেন তাহির আলী ও তার স্বজনরা। আদালত কর্তৃক ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্বেও থানা পুলিশের যোগসাজসে ওই বাসা নির্মাণ করা হচ্ছিলো। এতে আলীম উদ্দিন একাধিকবার থানায় অভিযোগ দাখিল করলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। উল্টো এএসপি আব্দুল করিম ও ওসি তাজুল ইসলাম নানা সময় তাদের হুমকি দেন। জোরপূর্বক বাসা নির্মাণের একপর্যায়ে গত ১৫ এপ্রিলের একটি ঘটনা দেখিয়ে ২১ এপ্রিল সিলেটের আদালতে আলীম উদ্দিন, ভাই বড়লেখার একটি মসজিদের ইমাম নিজাম উদ্দিন, দুলাভাই আনিসুর রহমান, বোন ফরিদা বেগম ও তালতো ভাই মছন আহমদকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন তাহির আলীর ভাই মাহমুদ আলী। মামলায় চাঁদাবাজিসহ ক্ষতিসাধনের অভিযোগ করা হয়।
আদালত অভিযোগটি তদন্তের জন্য কানাইঘাট থানায় পাঠান। আদালতের নির্দেশনা পেয়ে ওসি তাজুল ইসলাম থানার সাব-ইন্সপেক্টর মোক্তার আলীকে তদন্তভার দেন। কিন্তু মোক্তার আলী সরেজমিন তদন্ত না করে বাদির দেয়া সাক্ষীদের সাক্ষ্যের উপর নির্ভর করে মসজিদের ইমামসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন। আলীম উদ্দিন জানান, ঘটনার যে সময় উল্লেখ করা হয়েছে তখন ছিলো রমজান মাস। ওই সময় তার ভাই হাফিজ মো. নিজাম উদ্দিন বড়লেখার বায়তুল আমান জামে মসজিদে ছিলেন। তিনি নিয়মিত তারাবিহ নামাজ পড়ান। রমজান মাসে তিনি একদিনের জন্য বাড়িও আসেননি। এছাড়া যে সময় ও দিনে ঘটনার কথা উল্লেখ আছে সেই দিন ও সে সময় ওখানে কোনো ঘটনাই ঘটেনি। অথচ একটি কাল্পনিক ঘটনা সাজিয়ে মাহমুদ আলীর অভিযোগকে সত্যে পরিণত করা হয়। আর মামলা ও গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে দখল করা ভুমিতে তাহির আলীর লোকজন পাকা ঘর নির্মাণ সম্পন্ন করে।অভিযোগ আলীম উদ্দিন উল্লেখ করেন জমিতে ঘর নির্মাণের জন্য এএসপি, ওসি ও তদন্ত কর্মকর্তারা বাদিপক্ষের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা ‘ঘুষ’ গ্রহণ করে মামলা, তদন্ত ও চার্জশিট প্রদান করেছেন। এ ব্যাপারে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি আইজিপি’র কাছে অনুরোধ করেন। আলীম উদ্দিন জানিয়েছেন, আমরা অসহায় হয়ে গেছি। প্রতিপক্ষ টাকার বিনিময়ে পুলিশকে ম্যানেজ করে জমি দখল নিতে একের পর মামলা দিয়েছে। তারা স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যানের নেতৃত্বের শালিসও মানেনি। এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও বর্তমানে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে বদলি হওয়া সাব-ইন্সপেক্টর মোক্তার আলী জানিয়েছেন মামলার চাঁদাবাজির অভিযোগ ছিলো। সেটির সত্যতা পাওয়া যায়নি। বাদিপক্ষ সাক্ষী হিসেবে যাদের এনেছেন তাদের বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে চার্জশিট দেয়া হয়েছে। নিরপেক্ষ কোনো সাক্ষী ওই সময় খুজে পাওয়া যায়নি।

You might also like