ছাতকে মুছলেখায় মুক্ত চোরকে গুম করে থানায় অভিযোগ-গোমর ফাঁস

শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী

সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জের ছাতকে গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়নে মুঠোফোন চুরকে হাতে-নাতে আটক করার পর মুছলেখা দিয়ে মুক্ত হয়ে চোরের পরিবার কতৃক চোরকে গুম করে থানায় অভিযোগ দিয়ে ভোক্তভোগী পরিবারকে ফাঁসাতে গিয়ে চোর নিজেই ফেঁসে গেছে।গত শুক্রবার উপজেলার দোলারবাজার ইউনিয়নের মঈনপুর বাজার এলাকা থেকে চোরকে আটক করে ভোক্তভোগী পরিবারের স্বজন মঈন উদ্দিন ও আলা উদ্দিন।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত ( ১৯ জুন) শুক্রবার দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের কঠালপুর গ্রামের আইন উদ্দিনের ঘরের ভেড়া কেটে দুটি মুঠোফোন চুরি করে পালিয়ে যায় একই গ্রামের ছমির আলীর ছেলে রাসেল আহমদ ডুমাই (৩৫)।বিষয়টি টের পেয়ে তার পিছনে তাড়া করে স্থানীয় রতœা নদী পর্যন্ত দৌড়ে গিয়ে চোরকে আটক করতে সক্ষম হন ভোক্তভুগী পরিবার। কিন্ত হাতে থাকা দুটি মুঠোফোন সে রতœা নদীতে ফেলে দিয়েছে দাবি আইন উদ্দিন ও তার পরিবারের।
শেষে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রহমানকে বিষয়টি অবগত করেন ভোক্তভুগী পরিবার। ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। স্থানীয়দের উপস্থিতিতে চোরকে মুছলেখায় মুক্ত করা হয়।এর পর (২৩ জুন) মঙ্গলবার পরিকল্পিতভাবে রাসেল আহমদ ডুমাইকে গুম করে তার পিতা ছমির আলী ছাতক থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়েরের পরদিন তদন্তকারী কর্মকর্তা ছাতক থানার এসআই উসমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এদিকে গুমের মিথ্যা অভিযোগে থেকে পরিত্রানের জন্য হয়ে হন্যহয়ে রাসেল আহমদ ডুমাইর সন্ধান করতে থাকেন ভোক্তভুগী আঅইন উদ্দিন ও তার স্বজনরা। গতশুক্রবার অবশেষে মঈনপুর বাজার এলাকা থেকে চোরকে আটক করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জাহিদপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হস্থান্তর করেন। সেখান থেকে ওই দিন সন্ধ্যায় ছাতক থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ বিষয়ে ভোক্তভুগী আইন উদ্দিন ও আব্দুস শহিদ বলেন, চোরকে আটকের পর স্থানীয় ইউপি সদস্যের নিকট আমরা হস্থান্তর করি। গ্রামের আব্দুর রহীম, মোহাম্মদ আলী মুজিব ও আঞ্জব আলীর সাথে আমাদের পূর্ব বিরোধ রয়েছে। তাদের প্ররোচনায় ছমির আলী তার ছেলে মোবাইল চুর রাসেল আহমদ ডুমাইকে গুম করে মিথ্যা অভিযোগ থানায় দিয়েছে। ভবিষ্যৎতে এ ধরনের কান্ড যাতে আর কেউ করার দুঃসাহশ না করে দৃষ্টান্তমুলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুনামগঞ্জ জেলা প্রসাশক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেক কামনা করেন আইন উদ্দিন ও তার স্বজনরা।

জালালপুর গ্রামের আলি হোসেন বলেন, এর আগেও সে কেেয়কবার মোবাইল চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েছে।গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, ডুমাইকে আটকের পর ভোক্তভুগী পরিবার বিষয়টি আমাকে অবগত করেন। তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানীয় মুরব্বিয়ানদের নিয়ে ডুমাইকে মুছলেখা করে মুক্ত করা হয়। পরে ডুমাইর পিতা থানায় মামলা দিয়েছেন।দোলার বাজার ইউপি চেয়ারম্যান সায়েস্থা মিয়া বলেন, একটা পক্ষ একজনকে লুকিয়ে থানায় গুমের মামলা দিয়েছিল। অপর পক্ষ খোঁজ খবর নিয়ে তার সন্ধ্যান বের করে। আমরা যোগাযোগ করে তাকে থানা পুলিশে হস্তান্তর করি।গুমের অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ছাতক থানার এসআই উসমান আটকের পর থানায় হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

You might also like