প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের ক্ষেত্রে গ্রামের সাথে শহরের ব্যবধান কমিয়ে এনেছে:পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে এই বাংলায় শহর গ্রামকে চুষে চুষে খাচ্ছে। যে সুযোগ সুবিধা শহরকে দেয়া হয় স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে গ্রামের মানুষ তার ছিটেফোঁটাও পায় না। এই ধারা ও বৈসাদৃশ্য ভাঙতে সক্ষম হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমি পরিকল্পনামন্ত্রী হিসেবে দেখছি প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের ক্ষেত্রে গ্রামের সাথে শহরের ব্যবধান কমিয়ে আনছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, উন্নয়ন পরিকল্পনা এমনভাবে করতে হবে, যাতে সাধারণ মানুষ সুফল পায়। জেলা-উপজেলার সাংবাদিকদের কল্যাণে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এখন উন্নয়ন কী, প্রবৃদ্ধি মাথাপিছু আয়, শিক্ষার হার, মুদ্রাস্ফীতি কী বুঝতে পারে।শনিবার বিকেলে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন।হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা জানান, প্রেসক্লাব সভাপতি রাসেল চৌধুরীর সভাপতিত্বে ওই সভায় বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি আবু জাহির, ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মনসুর উদ্দিন আহমেদ ইকবাল, ফজলুর রহমান প্রমুখ।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরো বলেন, বিনাশী, অন্তর্ঘাত, হরতাল, ঘেরাও এবং উন্নয়নের বিরুদ্ধে অবস্থানের রাজনীতি আজ শেষপর্যায়ে উপনীত। তিনি বিএনপির সমালোচনা করে বলেন, তারা সংসদের ভেতরে ও বাইরে পা রেখে সংবিধান ও আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তাদের এই দ্বিমুখী নীতি জনগণ বুঝতে পেরেছে। কেউ কেউ বলেন আ’লীগও এ ধরনের আন্দোলন করেছে। আমাদের কথা হচ্ছে, আমারা আন্দোলন করেছি স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে। বর্তমান সরকার ব্যাপক জনসমর্থন নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। তাই সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সকলেই আইন ও সংবিধানের পথের দিকে আসতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান যুগে লাঠিসোঁটা নিয়ে রাজধানী ঢাকায় এসে ক্ষমতায় থাকতে দেব না-এই ধরনের হঠকারী মন্তব্য জনগণ গ্রহণ করবে না।এরআগে লাখাই উপজেলা সদরে কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে এবং পরে হবিগঞ্জ পৌরসভার উন্নয়নের লক্ষ্যে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিকল্লনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

You might also like