বিশ্বনাথ পৌরসভার বরাদ্দের সাড়ে ৬৮ লাখ টাকা গেল কই?

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার বিভিন্ন উন্নয়নে বরাদ্দের ৭৯ লাখ ৬৪ হাজার টাকার মধ্যে ‘উন্নয়ন সহায়তা থোক বরাদ্দ খাত’র তৈরি প্রকল্পের ৬৮ লাখ ৫৮ হাজার টাকার হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না। এমন মোটা অঙ্কের টাকার হিসাব গায়েবে পৌরবাসীর মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।সদ্য সাবেক পৌর প্রশাসক ও বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহানের কাছে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেও ওই বরাদ্দের তালিকা পাননি এ প্রতিবেদক। বরাদ্দের বাকি ১১ লাখ ৬ হাজার টাকার ব্যয় দেখানো হয়েছে প্রাপ্ত বরাদ্দের মধ্যে ছোট্ট এই দু’টি প্রকল্পে।প্রকল্পগুলো হচ্ছে ডেঙ্গু মশক নিধন, লার্ভা নাশক ওষুধ সরবরাহকরণ ও বিভিন্ন ওয়ার্ডে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনায় ৫ লাখ ১৪ হাজার টাকা এবং তিন লেয়ার কাপড়ের মাস্ক, সার্জিক্যাল মাস্ক, সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ক্রয় ও বিতরণে দেখানো হয়েছে ৫ লাখ ৯২ হাজার টাকা। এ দু’টি প্রকল্পে ১১ লাখ ৬ হাজার টাকা ব্যয় নিয়েও সহায়ক কমিটির কিছু সদস্যদের মধ্যে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। ছোট্ট দু’টি প্রকল্পের ব্যয় অনেক বেশিই ধরা হয়েছে বলে তারা মনে করেন।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ফারজানা মান্নানের স্বাক্ষরিত অর্থ অবমুক্তকরণ এক পত্র থেকে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে ‘উন্নয়ন সহায়তা থোক বরাদ্দ খাত’, ‘পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও প্রচার’, ‘ডেঙ্গু মশক নিধন’, ‘করোনা’ মোকাবেলা উপখাতে মোট বরাদ্দ করা হয়েছে ৭৯ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।সচিবালয়ের অবমুক্তকরণ এ পত্র পাওয়ার পর প্রথমে মৌখিকভাবে পৌর প্রশাসকের কাছে প্রকল্পসহ ব্যয়ের তালিকা চাওয়া হয়। এতে পৌর প্রশাসক বলেন, তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করতে। তার কথামতো ২১ নভেম্বর তার বরাবর আবেদন করা হয়।৩০ নভেম্বর ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ‘ডেঙ্গু মশক নিধন, লার্ভা নাশক ওষুধ সরবরাহকরণ এবং বিভিন্ন ওয়ার্ডে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা’, ‘তিন লেয়ার কাপড়ের মাস্ক, সার্জিক্যাল মাস্ক, সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ক্রয় ও বিতরণসহ দু’টি প্রকল্পের বরাদ্দ ও ব্যয়ের তালিকা দেন।কিন্তু রহস্যজনক কারণে তথ্য অধিকার আইনে আবেদনে চাহিদা অনুযায়ী পৌরসভার জন্য ‘উন্নয়ন সহায়তা থোক বরাদ্দ খাত’ ও ‘পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা’ খাতের প্রাপ্ত বরাদ্দের প্রকল্প ও ব্যয়ের তালিকা দেননি। না দেয়ার কারণ জানতে চাইলে আবারও তাদের কছে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করতে বলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান।

You might also like