আবারও রিমান্ডে ডা. সাবরিনা
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ করোনার (কোভিড-১৯) নমুনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট তৈরির অভিযোগে গ্রেফতার জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা এ চৌধুরীর ফের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।শুক্রবার (১৭ জুলাই) তিনদিনের রিমান্ড শেষে এদিন দুপুরে সাবরিনাকে আদালতে হাজির কর ফের পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ-উর রহমান ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।অপরদিকে, আসামিপক্ষে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম রিমান্ড বাতিল পূর্বক জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
করোনার ভুয়া রিপোর্ট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথ কেয়ারের কর্ণধার আরিফুল চৌধুরীর স্ত্রী ডা. সাবরিনা চৌধুরী জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের একজন চিকিৎসক। জেকেজির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে সাবরিনা আছেন বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানায়।গত ১২ জুলাই সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তেজগাঁও বিভাগীয় উপ-পুলিশ (ডিসি) কার্যালয়ে আনা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন জেকেজির প্রতারণা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, ডিসিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সদুত্তর দিতে না পারায় তাকে তেজগাঁও থানায় আগেই আরিফুলের বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
পরদিনে ১৩ জুলাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনদিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত। সাবরিনার রিমান্ড চলাকালেই গত ১৫ জুলাই কারাগারে থাকা তার স্বামী আরিফুলকে চারদিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। এরই মধ্যে জেকেজির অপকর্ম সম্পর্কে তাদের দুজনকে রিমান্ডে মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।গত ২৩ জুন করোনার ভুয়া সনদ দেওয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে আরিফুলসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। গ্রেফতারের পর থানা হাজতে থাকা অবস্থায় আরিফুলের ক্যাডার বাহিনী ভাঙচুর ও হামলা করে থানায়। মারধর করে পুলিশকে।
এছাড়া রাজধানীর মহাখালীর তিতুমীর কলেজে নমুনা সংগ্রহের বুথ বসিয়ে সেখানে প্রশিক্ষণের নামে নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগও পাওয়া যায়। কলেজের কক্ষে নারী-পুরুষের আপত্তিকর অবস্থানসহ নানা অনৈতিক কাজে বাধা দিলে তিতুমীর কলেজের শিক্ষক, কর্মচারী ও ছাত্রদের ওপরও হামলা করে আরিফুলের লোকজন।অভিযোগ পাওয়া যায়, রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্নজনকে হুমকি দিতেন আরিফ। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নাম ব্যবহার করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালককেও দেখে নেওয়ার হুমকি দেন তিনি।জানা যায়, জেকেজির কর্ণধার স্বামী-স্ত্রী মিলে করোনা টেস্টের ভুয়া সনদ বিক্রি করেছেন। প্রতিটি টেস্টের জন্য জনপ্রতি নিয়েছেন সর্বনিম্ন পাঁচ হাজার টাকা। আর বিদেশি নাগরিকদের কাছ থেকে জনপ্রতি তারা নিতেন ১০০ ডলার।