দুর্নীতির ৫ মামলা থেকে সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিনকে অব্যাহতি
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্থ আত্মসাতের মামলায় চিকিৎসা ভাতা হিসেবে উত্তোলন করা ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকা আদালতে জমা দিয়ে অব্যাহতি পেলেন সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার।রোববার (৯ জুলাই) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭’র বিচারক প্রদীপ কুমার রায় তাকে অব্যাহতির আদেশ দেন।গত বছর ২৫ আগস্ট ব্যারিস্টার জমির উদ্দিনে সরকারের নামে থাকা দুর্নীতির পাঁচটি মামলা প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ বাতিল করে রায় দেন।
পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, চিকিৎসা ভাতা হিসেবে উত্তোলন করা এই টাকা রায়ের কপি বিচারিক আদালত গ্রহণের ছয় মাসের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়। সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ মোতাবেক এই চালান কপি বিচারিক আদালতে জমা দিলে তিনি এই মামলা থেকে চূড়ান্ত অব্যাহতি পাওয়ার কথা। সে অনুযায়ী গত ১৪ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট এলাকার সোনালী ব্যাংকে চালানের মাধ্যমে এই অর্থ জমা দেওয়া হয়। সেই চালান স্লিপ আদালতে জমা দিলে বিচারিক আদালত জমির উদ্দিন সরকারকে অব্যাহতির আদেশ দেন।
বিদেশে চিকিৎসার জন্য অবৈধ উপায়ে সরকারি অর্থ অনুমোদন এবং তা নগদে তুলে আত্মসাৎ, সরকারি বাসভবনের আসবাব কেনা ও তা আত্মসাৎ এবং অতিরিক্ত অর্থ তোলার অভিযোগে দুদক এ মামলা পাঁচটি দায়ের করে। দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান খান ও উপ-সহকারী পরিচালক এসএম খবীর উদ্দিন বাদি হয়ে ২০১০ সালের ২৮ ডিসেম্বর রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় এসব মামলা দায়ের করেন।পরবর্তীতে এই পাঁচ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করলে বিচারিক আদালত অভিযোগ আমলে নেন। এ অবস্থায় পাঁচ মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জমির উদ্দিন সরকার। হাইকোর্ট মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেছিলেন। শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ১৯ মে হাইকোর্ট বিভক্ত আদেশ দেন। পরবর্তীতে তৃতীয় বেঞ্চ জমির উদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে এসব মামলা চলবে মর্মে রুল খারিজ করে দেন।হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আপিল বিভাগে আবেদন করলে আদালত মামলাগুলো বাতিলের আদেশ দেন। একইসঙ্গে চিকিৎসা ভাতা হিসেবে নেওয়া এই টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমার আদেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত।