প্রধানমন্ত্রীর উপহার হাজার কোটি টাকার বিশেষায়িত হাসপাতাল চালু হচ্ছে সিলেটে
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ আধুনিক মানের চিকিৎসাসেবা সিলেটবাসীর দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্য সরকার একের পর এক প্রকল্প হাতে নিয়েছে। বিভাগজুড়ে হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে বিশেষায়িত হাসপাতাল। শিগগিরই এই হাসপাতালগুলো খুলে দেয়া হবে সাধারণ মানুষের জন্য।গত বছরের ৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটসহ দেশের ৮টি বিভাগে সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধীনে সমন্বিত ক্যান্সার, কিডনি ও হৃদরোগ ইউনিট ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। স্থানীয় পর্যায়ে বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০২০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর এই প্রকল্প একনেকে পাস করা হয়। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৩৮৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।এ প্রকল্পের আওতায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে ৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫তলা বিশিষ্ট হাসপাতালের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী ডিসেম্বরে ১শ’ শয্যার ক্যান্সার ইউনিটে স্বাস্থ্য সেবা শুরু করার ব্যাপারে আশাবাদী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘ক্যান্সার রোগীদের সেবা আমরা আগে চালু করবো। আশা করছি ডিসেম্বরে সেটা শুরু করা সম্ভব হবে।এছাড়া, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে ১০তলা ভবন। বিভাগের প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। নতুন উপজেলা ওসমানীনগরে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কাজ প্রায় শেষের পথে।অন্যদিকে, ২০১৮ সালে ২৫০ শয্যার সিলেট জেলা হাসপাতাল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৫ তলা বিশিষ্ট এই হাসপাতালের ৮৭ কোটি ব্যয়ে প্রথম পর্যায়ের ৮ম তলার কাজ শেষ। হাসপাতালের নির্মাণকাজে ধীরগতিতে ক্ষুব্ধ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘আমাদের পরিচালক মহোদয়ের কাছেও বিষয়টি স্পষ্ট না। তিনি বারবার মন্ত্রণালয়ে জোর দিচ্ছেন। আমার ধারণা, প্রকল্প পরিচালকের মাধ্যমে যেভাবে কাজ হওয়ার কথা সেভাবে হচ্ছে না।নগরির চৌহাট্টাস্থ শহীদ শামছুদ্দিন হাসপাতালের পাশে পূর্বের আবুসিনা ছাত্রাবাসের স্থানে এই হাসপাতালের নির্মাণকাজ চলছে গণপূর্ত বিভাগের অধীনে। নির্মাণকাজের সঙ্গে সিলেট স্বাস্থ্য বিভাগকে সংযুক্ত না করায় হাসপাতালের নির্মাণকাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।