প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ন্যাপের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক সংগঠন, মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দ্বিতীয় বৃহত্তম দল বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) এর ৬৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জেলা ন্যাপের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় সংগঠনের সবুজবাগস্থ কার্যালয়ে জেলা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট স্বদেশ রঞ্জন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরহাদ আহমেদ চৌধুরীর পরিচালনায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।উক্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- জেলা ন্যাপের সহসভাপতি অধ্যক্ষ (অবঃ) মোঃ রফিক আলী, সহসভাপতি অধ্যক্ষ (অবঃ) গোকুল চন্দ্র দাশ, অ্যাডভোকেট সুশীতল দেব, জেলা ন্যাপ নেতা ডাঃ এম এ ওয়াদুদ, জেলা ন্যাপের কোষাধ্যক্ষ অনুকূল চন্দ্র দাস, জেলা ন্যাপ নেতা অধ্যক্ষ (অবঃ) সফিউল আলম চৌধুরী, হবিগঞ্জ জেলা সাম্যবাদী দলের নেতা মোঃ আব্দুল কুদ্দুছ, শায়েস্তাগঞ্জ পৌর ন্যাপের সভাপতি ডাঃ অনুকূল দাশ, কবি ও সংস্কৃতি কর্মী এস ডি শিমুল।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- অ্যাডভোকেট মনোজিত লাল দাশ, হবিগঞ্জ পৌর ন্যাপ নেতা পবিত্র রঞ্জন দাশ, প্রাণেশ কুমার দেব, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা ন্যাপের সদস্য সচিব এটিএম নুরুল হক মাস্টার, শায়েস্তাগঞ্জ পৌর ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাচ্চু মিয়া, মোঃ আব্দুল আলী মাস্টার, মোঃ নুরুল ইসলাম তরফদার, করুন রায়, রবীন্দ্র দেব, রুবেল রানা তালুকদার, সৈয়দ তামুন ইসলাম, ফরহাদ হোসেন, মোঃ মাসুদ রহমান, মোঃ মোজাম্মেল হোসেন, মোঃ সাজিদ মিয়া প্রমূখ।

সভার শুরুতে শ্রদ্ধেয় মহান নেতা অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ সহ ন্যাপের যে সমস্ত নেতৃবৃন্দ প্রয়াত হয়েছেন আজ তাঁদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনপূর্বক ১ (এক) মিনিট দাঁডিয়ে নীরবতা পালন করা হয়।আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৫৭ সনের ২৫ ও ২৬ জুলাই দুই দিনব্যাপী পুরানো ঢাকার সদরঘাটের রূপ মহল সিনেমা হলে গণতান্ত্রিক কর্মী সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ২৭ জুলাই জন্ম লাভ করে তৎকালীন নিখিল পাকিস্তান ভিত্তিক সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)। মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে বাংলাদেশের সকল অসাম্প্রদায়িক, গনতান্ত্রিক আন্দোলন ও বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণে ন্যাপের নিরবিচ্ছিন্ন অংশগ্রহন এবং নেতৃত্বদানের দীর্ঘ সংগ্রামের পথ পরিক্রমায় অগণিত নেতাকর্মী জীবন দিয়েছেন, জেল-জুলুম, অত্যাচার সহ্য করেছেন। ন্যাপের মূল লক্ষ্য জনগনের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করা। পাশাপাশি ধর্ম-কর্ম গণতন্ত্রের নিশ্চয়তাসহ সমাজতন্ত্র তথা একটি শোষণ মুক্ত, বৈষম্যহীন অসাম্প্রদায়িক সমাজ ব্যাবস্থা কায়েম করা তথা বাংলাদেশকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা। চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ন্যাপ পার্টিকে শক্তিশালী ও বেগবান করে তোলার জন্য এদেশের ছাত্র-যুবসহ আপামর জনতাকে ন্যাপের পতাকাতলে সমবেত হওয়ার জন্য আলোচনা সভা হতে বক্তারা আহ্বান জানান।

You might also like