জগন্নাথপুরে লেবুর বাম্পার ফলনঃ সস্তায় চাষি হতাশ
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে লেবুর ভালো ফলন হয়েছে। ভালো ফলন হলেও বাজারে দাম কম থাকায় লোকসান গুণতে হচ্ছে বাগান মালিককে। স্থানীয় বাজারসহ অন্যান্য বাজারেও লেবুর চাহিদা ও দাম কম। এতে হতাশ লেবুর বাগানের চাষি।জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা জানান, রানীগঞ্জ ইউনিয়নের আছিমপুর গ্রামের কৃষক মুছলিম উল্লাহ ২ ছেলে ও ২ মেয়ের সংসার। ২ ছেলে সৌদি আরবে থাকেন। সেখানে তার ছেলের বন্ধু টাঙ্গাইলের গ্রামের বাড়িতে লেবু চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছে। বন্ধুর উৎসাহে মুছলিম উল্লাহ’র ছেলে বাবাকে লেবুর বাগান করতে আগ্রহ দেখায়। ছেলের কথা মত মুছলিম উল্লাহ প্রায় ৯০ শতক জায়গায় ৭ শ’ চারা দিয়ে শুরু করেন লেবুর বাগান। ৪ বছর পর লেবুর ভালো ফলনও হয়েছে। ভালো ফলন হওয়ায় চাষি খুশি হলেও বাজারে দাম কম থাকায় পড়েছেন লোকসানে। এলাকার হাটবাজারে ছোট ও বড় লেবু ১ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয় বাজারসহ অন্যান্য বাজারেও লেবুর চাহিদা নেই।
এ ব্যাপারে মুসলিম উল্লাহ জানান, আমার এই জমিতে চারা রোপনসহ বিভিন্ন ধরণের সবজি চাষ করেছি, আমার ছেলের কথামত ধান ও সবজি চাষ বাদ দিয়ে লেবুর বাগান করি। ৪ বছর যাবত লেবুর বাগানে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। লাভের আশা থাকলেও এখন লোকসান হচ্ছে। আশেপাশের কয়েকটি বাজারে লেবু নিয়ে ১শ’ টি লেবু এক শ’ টাকা বলে কোন সময় আরো কম দাম বলে। এখন অসহায় হয়ে অল্প দামে লেবুগুলো বিক্রি করে যাচ্ছি। লেবুর চাহিদা নেই, দামও কম। লেবু চাষে কোনো লাভ হয়নি।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাওসার আহমেদ জানান, আমি শুনেছি আছিমপুর গ্রামে লেবুর বাগান করেছেন কৃষক মুসলিম উল্লাহ। প্রথমে তাকে ধন্যবাদ জানাই। লেবুর দাম কমবেশী হতে পারে। আমরা দেখেছি রমজান মাসে একটি লেবুর দাম ২০ টাকায়ও বিক্রি হয়েছে। আসলে কৃষক যদি বাজারে লিংকআপ করে বিক্রি করতে পারেন তাহলে ভাল দাম পাবেন। এ ব্যাপারে আমাদের কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তর বাজার দরের ব্যাপারে আলাদা ডিপার্টমেন্ট আছে তাদেরকে দিয়ে সহযোগিতা করা হবে। আমরা বিভিন্ন ধরণের প্রণোদনা দিয়ে থাকি, সেখান থেকে এই কৃষককে সহযোগিতা করা হবে।