জগন্নাথপুরে ভেঙে যাওয়া বেইলি সেতুর মেরামত কাজ চলছে
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের নলজুর নদীর ওপরে ভেঙে যাওয়া বেইলি সেতুর মেরামত কাজ শুরু হয়েছে। ২৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সেতুটির মেরামত কাজ শুরু হয়। মেরামত করতে আনুমানিক ৫০ লাখ টাকা খরচ হবে এবং ২/৩ দিনের মধ্যে সেতু দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ।জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা জানান, ২২ আগস্ট মঙ্গলবার বিকেলে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর-রাণীগঞ্জ সড়কের নলজুর নদীর কাটাগাঙ্গে বেইলি ব্রিজে ট্রাক ওঠতেই পাটাতন ভেঙ্গে নদীতে পড়ে যায়। এ সময় ট্রাকটি নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন চালক ও হেলপার। সন্ধ্যার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা ডুবন্ত ট্রাক থেকে নিখোঁজদের মরদেহ উদ্ধার করেন।পুলিশ, এলাকাবাসী ও সওজ সূত্র জানায়, জগন্নাথপুর বাজারের ফাতেমা ট্রের্ডাসের মালিক শাকিল চিশতির ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য আসা ট্রাকটি কাটাগাঙ্গে বেইলি ব্রিজে ওঠতেই পাটাতন খুলে ধ্বসে পড়ে। এ ঘটনায় মারা যান সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জের বাসিন্দা ট্রাকচালক ফারুক মিয়া (৫০) ও হেলপার সিলেটের এয়ারপোর্ট ধোপাগুল এলাকার বাসিন্দা জাকির মিয়া (৩৫)।
ব্রিজে ভেঙ্গে জগন্নাথপুরের এ সড়কের সঙ্গে ঢাকার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়ে। এতে রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ ভোগান্তি পড়েছেন। সেতু মেরামত করতে আসা শ্রমিক হোসেন মিয়া বলেন, ৩/৪ দিনের মধ্যে সেতু মেরামতের কাজ শেষ হয়ে যাবে।
সড়ক ও জনপথ সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম প্রামাণিক বলেন, সেতুটির ভাঙা অংশ মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। এটি মেরামতে ৫০ লাখ টাকার মতো খরচ হবে।এদিকে, ২৩ আগস্ট বুধবার সওজের সুনামগঞ্জের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আশিকুর রহমান বাদী হয়ে জগন্নাথপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। থানার ওসি মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।তিনি বলেন, সওজের মামলায় ৩ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি দেখানো হয়েছে। এ মামলায় ট্রাক মালিক ও নিহত চালককেও আসামি করা হয়েছে। তবে জেনে শুনে মৃত ব্যক্তিকে আসামি করার বিষয়ে ওসি বলেন, নিহত চালককে মামলার আসামি করা হলেও তদন্তের পর তার নাম বাদ যাবে। প্রাথমিকভাবে আসামি করা যেতে পারে।মৃত ব্যক্তিকে আসামি করার বিষয়ে সওজ সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে আসামি ক’জন সেটি তিনি বলতে পারেন না।তিনি বলেন, অতিরিক্ত মালামাল নিয়ে ট্রাকটি ওঠার পর বেইলি ব্রিজটির পাটাতন খুলে ধ্বসে পড়ে যায়। ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ এবং অতিরিক্ত মালামাল পরিবহনের নিষেধাজ্ঞার সাইনবোর্ড লাগানো ছিল।