হবিগঞ্জে হত্যা মামলার দীর্ঘ ২৬ বছর পর ১ আসামীর মৃত্যুদন্ড
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ হবিগঞ্জে ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় ১ জনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। ২৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আজিজুল হক এ রায় দেন। রায়ে আসামীকে আরও ১০ লাখ টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়। দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি হচ্ছেন সদর উপজেলার সুলতানশী গ্রামের বাসিন্দা মৃত আলিম উল্লাহর ছেলে আব্দুল ওয়াহিদ (৬০)। রায় প্রদানকালে আসামি আদালতে হাজির ছিলেন।হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা জানান, বিষয়টি নিশ্চিত করে পিপি অ্যাডভোকেট মো. মুছা মিয়া রায়ে সন্তুষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এ হত্যাকান্ডটি দিন-দুপুরে সংগঠিত হয়েছিল। তাই এ রায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। মামলায় ২ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দেয়া হয়েছিল। অপর আসামি তার ভাই আব্দুর রশিদ দীর্ঘদিন পূর্বে মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
নিহতের ছেলে রাসেল আহমেদ রায়ে সন্তুষ প্রকাশ করে বলেন, আমার বাবাকে যখন হত্যা করা হয় তখন আমি ছোট ছিলাম। বুঝতেও শিখিনি। আমরা চাই এখন যেন দ্রুত রায় কার্যকর হয়।মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৭ সালে কোরবানীর ঈদে চামড়া ব্যবসার উদ্দেশ্যে সদর উপজেলার সুলতানশী গ্রামের আব্দুল হাই (৪০) একই গ্রামের আব্দুল ওয়াহিদ ও তার ভাই আব্দুর রশিদকে ২ লাখ টাকা দেন। তারা ৩ জন অংশীদারভিত্তিতে ব্যবসা করেন। কথা ছিল আব্দুল ওয়াহিদ ও আব্দুর রশিদ লভ্যাংশসহ আসল টাকা বিনিয়োগকারী আব্দুল হাইকে একসাথে ফেরত দেবেন। কিন্তু বেশ কয়েকদিন চলে গেলেও টাকা ফেরত দিই দিচ্ছি করে আসামীরা টালবাহানা করতে থাকেন। একপর্যায়ে একই বছরের ১ জুন আব্দুল হাই টাকা ফেরত চাইতে যান। এ সময় আসামীরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. আব্দুল ছফি বাদি হয়ে পরদিন ২ জুন সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা ২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দেন। আদালত ২০ জন সাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার উল্লেখিত রায় দেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট সালেহ উদ্দিন আহমেদ।