বিপর্যস্ত কমলাচাষীরা হতাশ!
সত্যবাণী
সিলেট অফিসঃ মাস দুয়েকের মধ্যেই বাজারে উঠতে শুরু করবে কমলা। তবে এ বছর অনাবৃষ্টির কবলে পড়ে কমলার উৎপাদনে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে মৌলভীবাজারে। এছাড়াও পোকার আক্রমণে গাছ থেকে ঝরে পড়ছে কমলা। কীটনাশক প্রয়োগেও মিলছে না সুফল।
মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা জানান, মাটি ও আবহাওয়া চাষের অনুকূলে থাকায় জেলার জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলায় পাহাড়-টিলাতে সবচেয়ে বেশি চাষ হয় কমলা। সাধারণত নাগাপুরী ও খাসিয়া এই দুই জাতের কমলার উৎপাদনই বেশি হয় এখানে। তবে এ বছর কাঙ্খিত ফলন না হওয়ার দুশ্চিন্তায় চাষীরা।
জুড়ী উপজেলার কমলাচাষী মোর্শেদ মিয়া বলেন, এ বছর গাছে ফুল আসার শুরুতেই কমলা বাগানগুলো প্রচণ্ড খরার কবলে পড়ে। এরমধ্যেও বাগানে ব্যাপক পরিমাণ ফুল আসে। তবে বৃষ্টির অভাবে কমলার অধিকাংশ গুটি-ই শুকিয়ে ঝরে যায়। এ বছর কমলার আকৃতি অনেকটা ছোট হয়ে গেছে বলেও জানান এই কৃষিজীবী।
আরও একাধিক চাষীর সঙ্গে কথা হয় গণমাধ্যমের। তারা জানান, বাগানে কৃত্রিম সেচের ব্যবস্থা করেও ফলন টিকিয়ে রাখা যায়নি। এছাড়াও এক ধরণের পোকার আক্রমণে কমলা হলুদ রঙ ধারণ করে গাছ থেকে ঝরে পড়ছে। কৃষিজীবীদের অভিযোগ, বাজার থেকে সংগ্রহ করা নানা কীটনাশক ওষুধ ছিঁটিয়েও কাজ হচ্ছে না। এতে লোকসান গুণতে হবে তাদের।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সামছুদ্দিন আহমদ বলেন, কমলার ঝরে পড়া রোধে চাষীদের বাগানে নিয়মিত পানি দেয়া ও সঠিক পরিচর্যার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। বাজারজাতের পর সঠিক দাম পাওয়া গেলে উৎপাদনের ক্ষতি পোষানো যাবে।
জানা গেছে, নভেম্বরের শেষ এবং ডিসেম্বরের শুরুর দিকে মৌলভীবাজার থেকে উৎপাদিত কমলা বাজারে ওঠতে শুরু করবে। এ বছর ১৭০ হেক্টর জমিতে কমলার চাষাবাদে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ১৩৬ মেট্রিক টন।