পেঁয়াজকান্ডে সিলেট প্রশাসন কঠোর অবস্থানে
সত্যবাণী
সিলেট অফিসঃ শুক্রবার থেকে ভারত কর্তৃক রপ্তানি বন্ধের অজুহাতে সিলেটে পেঁয়াজের বাজার অস্থির। অসাধু ব্যবসায়ীরা কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে কেজিতে ৫০ এবং একদিনের মধ্যে ১০০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করছে। এ নিয়ে ক্রেতাপর্যায়ে প্রচন্ড ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ অবস্থায় সিলেটে পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করতে জেলা প্রশাসন জরুরি বৈঠক করেছে।
১১ ডিসেম্বর সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে পুলিশ প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষরণসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিকেলের মধ্যে সহনীয় ও যৌক্তিক পর্যায়ে দাম নির্ধারণ করে জেলা প্রশাসনকে অবগত করতে নির্দেশ দেয়া হয়। বৈঠকে অতিরিক্ত দামে সিলেট পেয়াঁজ বিক্রি না করতে কঠোরভাবে নির্দেশ দেয় জেলা প্রশাসন। এমন অপকর্ম করলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়।
বৈঠকের পর সিলেটের সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা (দায়িত্বপ্রাপ্ত) আবু সালেহ মো. হুমায়ূন কবির গণমাধ্যমকে বলেন, অনুষ্ঠিত বৈঠকে সহনীয় ও যৌক্তিক পর্যায়ে পেঁয়াজ বিক্রি করতে সিলেটের ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তারাও এ বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবার বিকেলের মধ্যে ব্যবসায়ীরা নিজেদের মধ্যে বোঝাপাড়া করে যৌক্তিক বিক্রিমূল্য নির্ধারণপূর্বক আমাদের জানানোর কথা রয়েছে। পরে জেলা প্রশাসক যাচাই করে দাম চূড়ান্ত করে ঘোষণা করবেন।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, সিলেটের পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমাদের তদারকি অব্যাহত রয়েছে। অতিরিক্ত ও অযৌক্তিক দামে কেউ পেঁয়াজ বিক্রি করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে, আমদানিকৃত পেঁয়াজের মূল্য বৈঠকে নির্ধারিত না হলেও দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকার বেশি বিক্রি না করতে নির্দেশনা দেয়া হয়।
বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার সকাল থেকে সিলেটে আমদানিকৃত পেঁয়াজ খুচরো বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকা। খুচরো বিক্রেতারা বলছেন, আড়তদারদের কাছ থেকে তারা বেশি দামে কিনছেন বলেই বেশি দামে বিক্রি করছেন।
এমন ভোগান্তি নিরসনে অনায্য দামে পেঁয়াজ বিক্রয়কারী আড়তদারদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার দাবি ভোক্তা সাধারণের।