প্রবীণ কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব আলহাজ সমরু মিয়ার ইন্তেকাল : সিলেটে নিজের প্রতিষ্ঠিত এতিমখানার পাশে সমাহিত
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
লন্ডনঃ সাউথ ওয়েস্ট লন্ডনের নরবেরী ইসলামিক একাডেমি মসজিদের দীর্ঘদিনের অনারারী মোয়াজ্জিন, বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ক্রয়ডনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, প্রবীণ কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব আলহাজ্ব সমরু মিয়া আর নেই । তিনি গত ১১ ডিসেম্বর সোমবার সকালে সিলেটের কামাল বাজার রাউতের গাঁও গ্রামে নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন । ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না লিল্লাহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৭০ বছর । তিনি এক ছেলে এক মেয়ে নাতি-নাতনীসহ বহু আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। পরদিন ১২ ডিসেম্বর মঙ্গবাল বাদ জোহর স্থানীয় কামাল বাজারে মরহুমকে তাঁর প্রতিষ্ঠিত আল-মদিনা এতিমখানা প্রাঙ্গনে জানাজা শেষে মসজিদ সংলগ্ন গোরস্থানে সমাহিত করা হয়।
উল্লেখ্য, মরহুম সমরু মিয়া গত ২২ নভেম্বর তাঁর প্রতিষ্ঠিত এতিমখানা পরিচালনার কাজে বাংলাদেশে যান এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কাজে নিবেদিত ছিলেন। ১১ ডিসেম্বর ফজরের নামাজ শেষে নাস্তা করেন । এর পরপরই আকস্মিক মৃত্যূর কোলে ঢলে পড়েন । তাঁর মৃত্যু সংসাদ শুনে লন্ডনে বসবাসরত ছেলে ও মেয়ে বাংলাদেশে যান এবং পিতাকে শেষ বিদায় জানান।উল্লেখ্য, আলহাজ্ব সমরু মিয়ার মৃত্যূ সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে দেশে বিদেশে স্বজন-শুভাকাঙ্খীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। সাউথ ওয়েস্ট লন্ডনের নরবেরী মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ ইসমাইল মৃত্যু সংবাদ ঘোষনা করতে গিয়ে বলেন, আলহাজ্ব সমরু মিয়া ছিলেন মসজিদের একটি স্তম্ভ । তিনি সুদীর্ঘ ২১ বছর মসজিদের অবৈতনিক মোয়াজ্জিন ছিলেন। যখনই আপনারা মসজিদে এসেছেন তাঁকে পেয়েছেন। তিনি মসজিদের জন্য নিবেদিত ছিলেন। আলহাজ্ব সমরু মিয়া তাঁর দীর্ঘ মোয়াজ্জিন জীবনে কোনোদিনও মসজিদ থেকে কোনো বেতন নেননি। তিনি বিনিময়ে শুধু পরকালীন কল্যাণ চেয়েছেন । বাংলাদেশে তিনি এতিমখানা, মসজিদ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রতি রামাদ্বানে এতিমখানার জন্য মসজিদে ফান্ডরেইজ করতেন। আল্লাহ তায়ালা যেন তাঁর এসব কাজ কবুল করে তাঁকে জান্নাতে সমাসীন করেন।এদিকে মরহুমের একমাত্র ছেলে ফখরুল ইসলাম পিতার রুহের মাগফেরাতের জন্য সকলের কাছে দোয়া কামনা করেছেন।