টিআইবি’র গবেষণার বাস্তবতা খুঁজে পাই না: ওবায়দুল কাদের
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) রিপোর্ট একপেশে এবং সরকার বিরোধী। তারা একটি পক্ষের ওকালতি করে, বিএনপি যে ভাষায় কথা বলে, তারাও একই কথা বলে। তারা বিএনপির দালাল। তিনি বলেন,‘টিআইবি যা গবেষণা করে, বাস্তবতা আমরা খুঁজে পাই না। তারা বিএনপির সুরে কথা বলে। ইতিহাস বলে তারা সবসময় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ছিল। বিএনপির পক্ষে কথা বলে তারা। তাদের গবেষণার নিরপেক্ষতা আমরা খুঁজে পাইনি।ওবায়দুল কাদের আজ বৃহষ্পতিবার দুপুরে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, একটা প্রতিষ্ঠান আছে যাদের কোনো রেজিস্ট্রেশন নেই। অথচ কিছু কিছু গণমাধ্যম আছে তাদের কথা ফলাও করে প্রচার করে। এখন ধরুন অ্যাকসিডেন্টে যদি ১০০ লোক মারা যায়, তারা এটাকে ৫০০ বানাবে। টিআইবিও এ রকম একটা প্রতিষ্ঠান। তারা গবেষণা করে, কিন্তু তাদের গবেষণার বাস্তবতা আমরা খুঁজে পাই না।টিআইবির বিরুদ্ধে আইনি কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই তাদের নিয়ে কথা বলছি এইটাই তো যথেষ্ট, তারা একপেশে পক্ষপাতিত্ব করে, সেটা বলছি। সব ব্যাপারেই কী মামলা ঠুঁকে দিতে হবে। টিআইবি সরকারের বা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করলেও সংস্থাটির বিরুদ্ধে মামলা করবে না আওয়ামী লীগ।নির্বাচন পরবর্তী বিভিন্ন স্থানের সংহিতা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাজনীতিতে রণকৌশল থাকবেই। আমাদের দ্বন্দ্ব কোন্দল আছে, থাকবেই। সব দলেই আছে। এসব নিয়ে আওয়ামী লীগ এগিয়ে যাচ্ছে। যেখানে যত সমস্যায় থাকুক, শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে সবাই ঐক্যবদ্ধ।উপজেলাসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক থাকবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সামনে উপজেলাসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে করার এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত আছে। আওয়ামী লীগের বোর্ডে সভায় সবই সিদ্ধান্ত হবে। সংসদে বিরোধী দল হবে কারা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ৩০ জানুয়ারি বর্তমান সরকারের প্রথম অধিবেশন। জাতীয় সংসদে বিরোধী দল হবে কারা সংসদ চালু হলেই বুঝা যাবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, দোষারোপ নয়, দ্রব্যমূল্য নিয়ে বাস্তব মুখী সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। এজন্য শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ সহ অন্য সকল ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়গুলো বাস্তবতার নিরিখে তাদের কর্মপরিকল্পনা তৈরি করছে। এ সময়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাঈদ খোকন, পারভীন জামান কল্পনা ও মেরিনা জাহান কবিতা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।