কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ ঢাকায় এ বছর লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৩৫ থেকে ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।ঢাকার বাইরে ২৮ থেকে ৩২ টাকা দর নির্ধারণ করা হয়েছে।একইসঙ্গে সারাদেশে প্রতি বর্গফুট খাসির কাঁচা চামড়া ১৩ থেকে ১৫ টাকা এবং বকরির চামড়া ১০ থেকে ১২ টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।ট্যানারির মালিকরা উল্লিখিত মূল্যে কাঁচা চামড়া ক্রয় করার ঘোষণা দিয়েছেন।রবিবার (২৬ জুলাই) আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়ার মূল্য নির্ধারণ,কাঁচা চামড়া সংগ্রহ,প্রক্রিয়াজাতকরণ,মিডিয়ায় প্রচার এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয় পর্যালোচনা
সংক্রান্ত অনলাইন (জুম) সভায় এই দর চূড়ান্ত করা হয়।বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সভায় সভাপতিত্ব করেন।বাণিজ্যমন্ত্রী তার নিজ বাসভবন থেকে এই ভার্চুয়াল সভায় যুক্ত হন।
সভায় জানানো হয়,স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচা চামড়ার মূল্য এবং সামগ্রিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য সংগঠন, ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পরামর্শ করে চামড়ার আন্তর্জাতিক বাজার দর,আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের চাহিদা,কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে চাহিদা, বাংলাদেশের চামড়ার গুণগত মান,স্থানীয় চাহিদা ও মজুত পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ মূল্য নির্ধারণ করা হয়।
এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন,চামড়ার নির্ধারিত মূল্য নিশ্চিতকরণ,যথাযথ প্রক্রিয়ায় চামড়া সংগ্রহ ও যথাসময়ে লবণ লাগানো নিশ্চিত করতে হবে।ঈদের দিন থেকে দেশব্যাপী কঠোরভাবে বিষয়গুলো মনিটরিং করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের গঠিত মনিটরিং টিম।এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন,এ বছর চামড়া যাতে নষ্ট না হয় এবং নির্ধারিত মূল্য নিশ্চিত করতে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং কঠোরভাবে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।চামড়া সংগ্রহের ৫-৬ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় লবণ মিশাতে হবে, দেশে পর্যাপ্ত লবণ রয়েছে, সরবরাহের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। চামড়া সংগ্রহ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ, নির্ধারিত মূল্যে ক্রয়-বিক্রয়সহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা তদারকির জন্য সকল বিভাগীয়
কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর জেলা পর্যায়ে মনিটরিং করবে। জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল, বেতার, কমিউনিটি রেডিওতে প্রচারণা চালানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া, ফেসবুক-ইউটিউবে ১০ লাখ মানুষের কাছে ভিডিও বার্তা প্রেরণ এবং পর্যাপ্ত হ্যান্ডবিল বিতরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।সভায় বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দীন, তথ্য সচিব কামরুননাহার, এফবিসিসিআই’র সহসভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ, বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আফতাব খান সভায় সংযুক্ত ছিলেন।