বিএনপি নির্বাচনে না এসে কত বড় ভুল করেছে তা অচিরেই টের পাবে : ওবায়দুল কাদের
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে না এসে কত বড় ভুল করেছে তা অচিরেই টের পাবে। তিনি বলেন, বিএনপি আন্দোলন করলে করুক, বাধা নেই। কিন্তু আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে।আজ শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এই কর্মসূচির আয়োজন করে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক উপ কমিটি।বিএনপি’র আন্দোলন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাংলাদেশে বিরোধী দল বিএনপি হচ্ছে ডামি দল। শোকে শোকে তারা পাথর হয়ে গেছে। তারা আন্দোলন করবে জনতার ঢল নামবে এসব শুনে ঘোড়াও হাসে। নিজেদেরকে নিজেরাই ভুয়া বানিয়ে ফেলছে বিএনপি। শোকে পাথর দলটির নেতাকর্মীদের এখন ঘুম নেই।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির এই মুহূর্তে কোনো আশা নেই। নিষেধাজ্ঞাও নেই, ভিসানীতিও নেই, আটলান্টিকের ওপারের দিকে তাকিয়ে থাকে। তাদের এখন কালো পতাকার মিছিল, এটা হলো শোক পালনের মিছিল। তাহলে তারা নিজেরাই জাতিকে বলে দিচ্ছে আমরা পরাজয় বরণ করছি।
তিনি বলেন, কারাগারে আটক নেতাকর্মীদের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে বিএনপি। বিএনপির ২৫ হাজার নেতাকর্মী জেলে আছে। যারা ট্রেনে আগুন দিয়েছে, বাসে আগুন দিয়েছে, পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করেছে এবং প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা করেছে; তারাই জেলে গেছে। এরা আইনের সাথে ফেস করুক। লিগ্যাল ব্যাটেল করুক।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কোনো দেশে অপরাধ করে শাস্তি হবে না। আমেরিকার কথায় আমরা ছেড়ে দেব? ৯১টা চার্জে ট্রাম্পের বিচার হচ্ছে। যে দেশে প্রেসিডেন্টের বিচার চলছে সেই দেশ আমাদেরকে কীভাবে বলে- অপরাধীরকে ছেড়ে দিতে হবে? ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের জেলে এত লোক নেই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ১১ থেকে ১২ হাজারের মতো আছে, যারা অপরাধ করে জেলে গেছে। এখন তারা জাতিসংঘ দিয়েও বলাচ্ছে। লবিং ভালোই করে। লবিংয়ের ওস্তাদ এই দল। পরে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন তিনি। আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ এবং ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক উপকমিটির সদস্যবৃন্দ।