শাহজীবাজার বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৮ কর্মকর্তা-কর্মচারির বিরুদ্ধে মামলা
সত্যবাণী
সিলেট অফিসঃ হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার শাহজীবাজার বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ভিতর থেকে নিলাম ছাড়া অবৈধভাবে ৬টি গাছ কেটে বিক্রি করায় ৮ কর্মকর্তা ও কর্মচারির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের কাছে ঘুরে গাছ ক্রয়কারী সোহাদ মিয়া ব্যবস্থা না পেয়ে আদালতে পিডিবি’র ৮ অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
মাধবপুর থেকে সংবাদদাতা জানান, পিডিবির কর্মকর্তা ও কর্মচারি নিলামবিহীন অফিস কম্পাউন্ডের ভিতরের ৬টি গাছ স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ী সোহাদ মিয়ার কাছে বিক্রি করে। আর এসব গাছ বিক্রির টাকা ভাগ-বাটোয়ারা করতে গিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গেইটম্যানসহ কয়েকজনের সাথে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হন অসাধু ওই কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা। ফলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গেইটম্যানসহ কয়েকজন মিলে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের খবর দেয়ার পর শাহাপুর বিটের কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির গাছ জব্দ করেন।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী কাঠ ব্যবসায়ী সোহাগ মিয়া বলেন, শাহজীবাজার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ভেতর থেকে ৬টি গাছ ১ লাখ ৭০ হাজার টাকায় আমি ক্রয় করি। গাছগুলো কেটে বাইরে নিয়ে আসার জন্য শাহজীবাজার বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী (পরিমাপ ও নিয়ন্ত্রণ) এর স্বাক্ষরিত একটি পত্র ও গেইট পাসও দেয়া হয় আমাকে। কিন্তু গত ১৮ ডিসেম্বর তিনি গাছগুলো কেটে বাইরে নেয়ার সময় গেইটম্যান গাড়িসহ গাছগুলো আটক করেন। আটক করে কয়েকজনের সহযোগিতায় তিনি বন বিভাগে খবর দেন। তৎক্ষণাৎ বিট কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির গাড়িসহ গাছগুলো জব্দ করে নিয়ে যান। তারপর আমি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলে গাড়িসহ গাছগুলো ফেরত দিবেন বলে আশ্বস্ত করেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরণের টালবাহানা শুরু করে একপর্যায়ে গাছগুলো বিক্রির কথাও অস্বীকার করেন। পরে বাধ্য হয়ে গতকাল আমি হবিগন্জ আদালতে মামলা করেছি।
শাহাপুর বিট কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, অবৈধভাবে গাছগুলো বিক্রির খবর পেয়ে আমরা গাড়িসহ গাছগুলো জব্দ করেছি। বৈধ কাগজপত্র দেখালে আমরা গাছ দিয়ে দিব।
শাহজিবাজার বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চীফ ইন্জিনিয়ার মিজানুর রহমান বলেন, গাছ বিক্রির বিষয়ে আমি অবগত নই। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।