ঈদের কেনাকাটায় সিলেটের বাজার জমজমাট
সিলেট অফিস
সত্যবাণী
বরাবর ঈদের সপ্তাহ দু’য়েক আগে সিলেটের ফুটপাত জমে উঠলেও এবার সেখানে ভাসমান ব্যবসায়ীদের অস্তিত্ব নেই। হাহাকার চলছে লালদিঘিরপার হকার্স মার্কেটেও। এর বাইরের অবস্থা কিন্তু রীতিমতো জমজমাট। নগরির প্রায় সব মার্কেট বা শপিংমল জমে উঠেছে। বিকেল ৩টা থেকে প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে চুটিয়ে ব্যবসা। হাতভর্তি শপিং ব্যাগ নিয়ে ফিরছেন ক্রেতারা।
মুসলিম উম্মাহর সবচে’ বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল ফিতর। দীর্ঘ একমাস কঠিন সিয়াম সাধনা শেষে ঈদে পোশাক সামগ্রি বেচাকেনা হয় সবচে’ বেশী। এমনিক জুতা স্যান্ডেলও। অনেক ক্রেতা যেমন অপেক্ষায় থাকেন ঈদ-উল ফিতরে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সেরে নেয়ার, তেমনি বিক্রেতা বা ব্যবসায়ীরাও অপেক্ষায় থাকেন এই সময়ের। ব্যবসায়ীরা কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে। ছেলে-বুড়ো সবার গন্তব্য থাকে বিভিন্ন মার্কেট ও শপিংমল অভিমুখে।
এবার সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কড়াকড়ির কারণে নগরির কোনো রাস্তায় হকার বা ভাসমান ব্যবসায়ীদের উৎপাত নেই। নেই চিৎকার চেঁচামেচি। তাদের স্থান দেয়া হয়েছে লালদিঘিরপার মার্কেটে। তবে সেখানে টানা কয়েকদিন ঘোরাফেরা করেও ক্রেতাদের আনাগোনা তেমন একটা দেখা যায়নি।
এর বাইরে কিন্তু নগরির অবস্থা জমজমাট। বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, মির্জাজাঙ্গাল, লামাবাজার, চৌহাট্টা, আম্বরখানা ইত্যাদি এলাকার প্রায় সব মার্কেট ও বিপণীবিতানে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। প্রতিদিন জোহরের নামাজের পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা।
জমজমাট অবস্থা নগরির নয়াসড়ক ও কুমারপাড়া এলাকার ফ্যাশন হাউসগুলোতেও। শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে সব বয়সের ক্রেতারাই আসছেন। উল্টেপাল্টে দেখছেন এবং দু’হাতে শপিংব্যাগ নিয়ে ফিরেও যাচ্ছেন। নগরির ক্রেতাদের পাশাপাশি এর বাইরের শহরতলীসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকেও আসছেন ক্রেতা সাধারণ।
এর চাপও পড়ছে নগরির ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উপর। বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হলেও পরিস্থিতি দিনে দিনে আরও কঠিন হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, আম্বরখানা, লামাবাজার, রিকাবীবাজার, কুমারপাড়া, জেলরোড ও নয়াসড়ক পয়েন্টে দিনে-রাতে দীর্ঘ যানজটে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।
নগরির শুকরিয়া মার্কেট, প্লাজা মার্কেট,মধুবন, আলহামরা ও ব্লু-ওয়াটার শপিং সিটির একাধিক ব্যবসায়ীর সাথে আলাপ হয়েছে এ প্রতিবেদকের। তারা সবাই জানিয়েছেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার কাস্টমারের আনাগোনা যেমন বেশী, তেমনি বিক্রিও দিনে দিনে বাড়ছে। আগামী কয়েকদিনে আরও বাড়বে বলেও প্রত্যাশা তাদের।