বাংলাদেশ-ভারত-চীন সম্পর্ক নিয়ে মিডিয়া প্রতিবেদনকে ‘রাবিশ’ বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে বাংলাদেশ,ভারত ও চীনের সম্পর্ক নিয়ে হওয়া প্রতিবেদনকে রাবিশ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।তিনি বলেছেন, বিভিন্ন গণমাধ্যম অবান্তর বিষয় রটাচ্ছে।তবে এটি অন্য দেশের সঙ্গে সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না।চীন-ভারত সীমান্তের সাম্প্রতিক বিরোধের বিষয়ে কেউই আমাদের কিছু বলেনি এবং আমরা বিষয়টি ঠিক জানিও না।আমরা চাই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হলে ভালো হয়।কারো অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমরা কখনও নাক গলাই না।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,ভারতীয় কয়েকজন মারা গেছে একটি যুদ্ধে এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন কেউ এক ইঞ্চি জমিও দখল করেনি। ভারতীয় সরকার আমাদের কোনও নোট ভার্বালও পাঠায়নি যে তাদের কোনও লোক মারা গেছে। ফলে স্বাভাবিকভাবে আমরা কোনও বক্তব্য দেই নাই।ভারতীয় রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পাচ্ছেন না এমন খবরের বিষয়ে আব্দুল মোমেন বলেন, মিডিয়া বলেছে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চার মাস সাক্ষাৎ করতে পারেননি।আমার তথ্যমতে উনি ২২ জুলাই একটি সাক্ষাৎ চেয়েছেন এবং তিনি অনেক সময় দিয়েছেন।তিনি সম্ভবত যাবেন সেপ্টেম্বরের শেষে অথবা অক্টোবরের প্রথমে। এরমধ্যে একটি সাক্ষাৎ চেয়েছেন।
তিনি বলেন করোনাভাইরাসের জন্য প্রধানমন্ত্রী এখন কারও সঙ্গে দেখা করছেন না এবং কেবিনেট মিটিংও ভার্চুয়ালি হচ্ছে।এরমধ্যে বেশ কয়েকজন বিদেশি দূত ফেরত গেছেন এবং প্রধানমন্ত্রী কারও সঙ্গে দেখা করেননি। যে তথ্যটা বেরিয়েছে সেটি ডাহা মিথ্যা ও বানোয়াট।সিলেট ওসমানী এয়ারপোর্টে কাজ চীনকে দেওয়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন,টেন্ডার প্রক্রিয়া অনুযায়ী টেকনিক্যাল ও আর্থিক দিক বিবেচনা করে কাজ দেওয়া হয়।আমি যেটা শুনেছি চীনারা টেকনিক্যালি কোয়ালিফায়েড এবং আর্থিক দিক থেকে সবচেয়ে কম রেট। ভারতের আর্থিক বিষয়টি অনেক বেশি ছিল এবং এর ফলে তারা টিকতে পারেনি।কিন্তু কোনও পত্রিকা বলছে আমরা চীনকে বেশি সুবিধা দিয়েছি, যা একেবারেই অবান্তর।