৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনঃ দক্ষিণ সুরমায় প্রার্থী জুয়েলের ইশতেহার ঘোষণা
সিলেট অফিস
সত্যবাণী
দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো.জুয়েল আহমদ আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। ৫ মে রোববার দুপুরে উপজেলার একটি অভিজাত হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জুয়েল তার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে আমাদের দক্ষিণ সুরমা প্রতিনিধি এ তথ্য জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জুয়েল আহমদ বলেন, লালাবাজার ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের সরকার বাড়ির বাসিন্দা আমার পূর্বপুরুষ থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের পরিবারে সবসময় মানুষের কল্যাণে কাজ করার বিশেষ ঐতিহ্য রয়েছে। আমি আমার পিতার পদাঙ্ক অনুস্মরণ করে কিশোর বয়স থেকেই মানুষের সাথে কাজ করার স্বপ্ন দেখতে শুরু করি। জীবন জীবিকার প্রয়োজনে বিদেশের মাটিতে অবস্থান করলেও সব সময় আমার এলাকার প্রতি বিশেষ টান ছিল, তাই তো সময়ের প্রেক্ষাপটে দেশের মাটিতে এসে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। নিজের অবস্থানকে সু-সংহত করতে এলাকার মানুষের সাথে সু-সম্পর্ক রাখার চেষ্টা করেছি ।
বিগত বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি, ২২ সালের প্রলয়ংকরী বন্যাসহ প্রতিটি দুর্যোগকালীন মুহুর্তে মানুষের জন্য আমার হাত ছিল প্রসারিত। আমার সীমিত কার্যক্রমকে আরো বৃহৎ কলেবরে নিয়ে যেতে আমি আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনগণের ভালোবাসা নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছি।
তিনি বলেন,জেলা সদরের অন্যতম উপজেলা, বিভাগীয় নগরির প্রবেশদ্বার খ্যাত আমাদের দক্ষিণ সুরমা উপজেলা। এ উপজেলাকে জনবান্ধব ও আধুনিক উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবী। প্রশাসনের সাথে সমন্বয় রেখে সকল সরকারি-বেসরকারি সংস্থাকে সাথে নিয়ে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে স্থানীয় সরকারিপর্যায়ে গঠনমূলক ও শক্তিশালী ভূমিকা পালন করে উপজেলা পরিষদ। উপজেলা প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত নানাবিধ জটিলতার কারণে উপজেলা পূর্ণতা পায়নি। যার কারণে জনগণ তাদের পূর্ণঅধিকার থেকে বঞ্চিত রয়েছে।
এ দক্ষিণ সুরমা উপজেলাকে ঢেলে সাজাতে একটি বাস্তবমূখী পরিকল্পনা গ্রহণ এবং এর বাস্তবায়নে সঠিক নেতৃত্ব বাছাই করতে উপজেলাবাসীর সুদৃষ্টি কামনা করছি। আমি দক্ষিণ সুরমাবাসীর যোগাযোগ, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ মৌলিক চাহিদা পূরণে দল-মত নির্বিশেষে এক হয়ে ঘোড়া প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করার আহবান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, উন্নয়ন অগ্রগতির মহাসড়কে দক্ষিণ সুরমাবাসীর ভাগ্যের চাকার গতি বাড়ানোর এক সূবর্ণ সুযোগ এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। আমি আমার মেধা ও যোগ্যতাকে সর্বোচ্চ কাজে লাগিয়ে দক্ষিণ সুরমাকে স্মার্ট ও নান্দনিক একটি উপজেলা গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছি।
তিনি ইশতেহারে উপজেলার প্রতিটি জনপদের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন কার্যক্রমকে আরো জোরদার, রাস্তাঘাট,ব্রিজ নির্মাণ, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি জোরদার, সুপেয় পানি ও বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, উপজেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, উপজেলাবাসীর স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় রেখে স্বাস্থ্য সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা, সরকারের উপর মহল ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে সার্বক্ষণিক সমন্বয় রেখে জনবান্ধব উপজেলা গড়ার জোর তৎপরতা চালানো, উপজেলার ক্রীড়া উন্নয়নে সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন, উপজেলার অসহায় ও দরিদ্র মানুষের জন্য সরকারি অনুদানের পাশাপাশি আমার ব্যক্তিগত সহযোগিতা প্রদান, কারিগরি ও প্রযুক্তিনির্ভর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন, নারীদের কর্মসংস্থান ও ক্ষমতায়নের সুবিধা নিশ্চিত করা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের সামাজিক সুরক্ষা অক্ষুন্ন রাখা, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, চুরি, ডাকাতি, নারী ও শিশু নির্যাতন, মাদক ও জুয়ার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি চালু, বয়স্ক ও সুবিধাবঞ্চিত নারীদের সরকার প্রদত্ত ভাতা ন্যায্যতার ভিত্তিতে বন্টন করা, প্রতিটি গ্রামে আধুনিক শহরের সকল সুবিধা নিশ্চিত করা, প্রতি পরিবারে অন্তত একজন ব্যক্তির রোজগারের পথ নিশ্চিতসহ একটি জনবান্ধব উপজেলা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
তিনি তাঁর আগামীর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ৮ মে’র নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকে ভোট দেয়ার জন্য উপজেলার প্রত্যেক ভোটারের প্রতি অনুরোধ জানান।