সংবিধানে ‘আদিবাসী’ স্বীকৃতিসহ ১১ দাবি ইউসিজিএমের
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ সমতল অঞ্চলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় ও ভূমি কমিশন গঠনসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছেন সমতলের আদিবাসীরা।সোমবার (১২ আগস্ট) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের নিচে ‘সমতলের আদিবাসী ছাত্র-যুব ও সাধারণ জনগণ’র ব্যানারে আয়োজিত সমাবেশে তারা এসব দাবি জানান।সমাবেশে বক্তারা বলেন, অতীতের বিভিন্ন সরকার সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিলেও কার্যত কোনো উদ্যোগ নেয়নি। সমতলের আদিবাসীদের দারিদ্র্য নিরসন ও জীবনমান উন্নয়নের জন্য কিছু থোক বরাদ্দ ছাড়া কোনো সমরকার কার্যত কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আদিবাসীরা সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার শিকার হয়েছে।বক্তারা আরও বলেন, উন্নয়নের নামে আদিবাসীদের নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদ, ভূমি বেদখল, মিথ্যা মামলা, ধর্ষণ, হত্যা, গুমসহ তাদের সাথে নানা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে, যা উদ্বেগজনক। প্রতিনিয়ত পাহাড় ও সমতলে আদিবাসী নারী ও শিশুর ওপর নিপীড়নের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার পরিলিক্ষিত হয়নি।
সমাবেশে বক্তারা ১১ দফা দাবি জানান। দাবিগুলো হলো-
১। সমতল অঞ্চলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় ও ভূমি কমিশন গঠন করতে হবে।
২। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে সমতল অঞ্চলের আদিবাসী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
৩। বাংলাদেশের সংবিধানে আদিবাসীদেরকে আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।
৪। আদিবাসীদের প্রথাগত ভূমি অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
৫। আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় আদিবাসীদের জন্য সংরক্ষিত আসন নিশ্চিত করতে হবে।
৬। সমতলের আদিবাসীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আর্থ-সামাজিক ও জীবনমান উন্নয়নের জন্য জাতীয় বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রেখে বিশেষ ব্যাবস্থা (মনিটরিং সেল অথবা বোর্ড গঠন) করতে হবে।
৭। সমতলের আদিবাসীদের ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য রক্ষার্থে আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
৮। উন্নয়নের নামে আদিবাসীদের ভূমি অধিগ্রহণ, বেদখল ও উচ্ছেদ বন্ধ, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, সকল আদিবাসী হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৯। সমতল অঞ্চলের আদিবাসী ছাত্র-যুবদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১০। আদিবাসীদের মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
১১। আদিবাসী সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং ১৯২৭ সালের বন আইন সংশোধন করতে হবে।