মৌলভীবাজারের ৫ উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩ লাখ মানষ, চার নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
মৌলভীবাজার: গত দু’দিনের টানা বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নদী বেষ্টিত মৌলভীবাজার জেলায় বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। জেলার ৪টি বড় নদ নদীতে আবারও বেড়েছে পানি। মনু, ধলাই ও জুড়ী নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপদসীমার উপর দিয়ে। এতে পানিতে তলিয়ে গেছে জেলার অনেক সড়ক ও কৃষিজমি।মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) নিয়মিত বুলেটিনে মৌলভীবাজার বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, সাগরের লঘু চাপের প্রভাব ও ভারতের অতি বৃষ্টির ঢলে নদ-নদীর পানি বেড়েছে। এদিকে শরৎ মৌসুমে আরেক ধাপে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী পাড়ের সাধারণ মানুষ আবারও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।সরেজমিনে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পানিবন্দী হয়ে পড়েছে শতাধিক পরিবার। পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে ৪০ হেক্টর কৃষি জমি। এতে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন। গ্রামীণ অনেক সড়ক ও জুড়ী-ফুলতলা সড়কের কয়েকটি স্থানে পানি উঠে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল। এতে জনসাধারণ ভোগান্তিতে পড়েছেন।জুড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল আলম খান ইত্তেফাককে জানান, অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে উপজেলার ৪০ হেক্টর আমন ধান পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে।
এদিকে, টানা বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে কমলগঞ্জ-আদমপুর সড়ক। কমলগঞ্জের আদমপুর ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের শতাধিক বাড়িঘর নিমজ্জিত হয়েছে এবং এসব এলাকার প্রায় হাজারো মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন। কমলগঞ্জের স্থানীয়রা জানান, ইসলামপুর ইউনিয়ন থেকে রহিমপুর ইউনিয়ন পর্যন্ত ধলাই নদীর ৫৫ কি.মি. এলাকার কিছু স্থানে প্রতিরক্ষা বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। নদীতে আরও পানি বৃদ্ধি পেলে এসব ঝুঁকিপূর্ণ স্থানের বাঁধ ভেঙ্গে বন্যার শঙ্কা দেখা দিতে পারে।কমলগঞ্জ উপজেলার ইউএনও জয়নাল আবেদীন বলেন, নদীতে পানি বাড়ছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। কৃষিজমিসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের ত্রিপুরায় বৃষ্টি হওয়াতে নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃষ্টি কমে গেলে পানি নেমে যাবে।