অ্যাসাঞ্জকে সতর্ক করলো লন্ডনের আদালত
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
লন্ডনঃ টানা কয়েক মাস পর সশরীরে শুনানিতে অংশ নিয়ে লন্ডনের আদালতের সতর্ক বার্তা শুনেছেন উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে অংশ নেন তিনি। এই সময়ে মার্কিন সরকারের আইনজীবীর বক্তব্যের মধ্যে তাকে ‘ননসেন্স’ আখ্যা দেন এই লড়াকু সাংবাদিক। তখন বিচারক তাকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, বিচার প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন সৃষ্টি করলে তার অনুপস্থিতিতেই চলবে বিচার কাজ। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে ২০১২ সালের জুন থেকে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ২০১৯ সালের এপ্রিলে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাহার করে তাকে ব্রিটিশ পুলিশের হাতে তুলে দেয় ইকুয়েডর। ওইদিনই তাকে জামিন শর্ত ভঙ্গের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে ব্রিটিশ আদালত। তখন থেকে বেলমার্শ নামক কুখ্যাত কারাগারে সাজা ভোগ করছেন অ্যাসাঞ্জ। এরইমধ্যে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কম্পিউটার হ্যাক ও গুপ্তচর আইন লঙ্ঘনসহ ১৮টি অভিযোগ দায়ের করা হয়। ট্রাম্প প্রশাসন তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে চায়। ব্রিটিশ পুলিশও অ্যাসাঞ্জকে হেফাজতে নিয়েই জানিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়া হবে কিনা সে সংক্রান্ত একটি মামলার বিচার চলছে ব্রিটিশ আদালতে। করোনাভাইরাসের কারণে এই মামলার শুনানি এতদিন স্থগিত ছিল। সোমবার তা আবার শুরু হচ্ছে। আগামী চার সপ্তাহ ধরে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) দ্বিতীয় দিনের শুনানি হয়। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আইনজীবী জেমস লেউয়িস এক প্রত্যক্ষদর্শীকে বলেন, তথ্যদাতাদের নাম প্রকাশ করায় এবং ফাঁস হওয়া নথি সামলাতে ব্যর্থ হওয়ায় অ্যাসাঞ্জ প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়ার মুখোমুখি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন অ্যাসাঞ্জ। মাঝখান থেকে ‘ননসেন্স’ বলে ওঠেন তিনি। বিচারপতি ভানেসা বারাইতসের তখন অ্যাসাঞ্জকে সতর্ক করে বলেন, কোনও কিছুর সঙ্গে একমত না হতে পারলেও শুনানির মাঝখানে তিনি কথা বলতে পারবেন না। ভানেসা বলেন, ‘আপনি যদি বিচারপ্রক্রিয়ার মাঝখানে কথা বলেন, প্রত্যক্ষদর্শীকে কথা চালিয়ে যেতে না দেন, তবে আপনার অনুপস্থিতিতেই বিচারকাজ চালাতে বাধ্য হব আমি। তবে আমি তা করতে চাই না। সেকারণে আপনাকে স্পষ্টভাবে সতর্ক করলাম।’যুক্তরাষ্ট্রের গ্র্যান্ড জুরি অ্যাসাঞ্জকে যে ১৮টি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছে, তার মধ্যে ১৭টি অভিযোগই মার্কিন গুপ্তচরবৃত্তি আইনের আওতায় পড়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে ১৭৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে বিশ্বজুড়ে ক্ষমতাশালীদের মুখোশ উন্মোচনকারী এই ব্যক্তির