আখাউড়ায় বন্যার পানি বাড়ায় দুর্ভোগে দুর্গত এলাকার মানুষ

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিপাতের ফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গতকাল রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত নতুন করে আরও অন্তত ৫টি গ্রাম প্লবিত হয়েছে।সবমিলিয়ে জেলার আখাউড়া উপজেলা ছাড়াও কসবা এবং বিজয়নগর উপজেলার ৪০টি অধিক গ্রামের ১ হাজারেরও বেশি পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।পানি বাড়ার ফলে দুর্তগত এলাকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগ বাড়ছে। এছাড়া বন্যার কারণে আজ সকাল থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল সকালে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উজান থেকে নেমে আসা ঢলে আখাউড়া উপজেলা সদরসহ পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়। এছাড়া পানিতে তলিয়ে যায় আখাউড়া স্থলবন্দর ও আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট। ফলে চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাত্রী পারাপার কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। বন্যা দুর্গতদের জন্য উপজেলার সবকটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দুইটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হলেও ঘর-বাড়ি ফেলে অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে চাইছেন না।

আজ সকাল থেকে বন্যাদুর্গত কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ ঘর-বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। ঘরের আসবাবপত্রও পানির নিচে। এছাড়া চুলা ডুবে যাওয়ায় রান্নাও করা যাচ্ছে না।স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভারতের উজানের পানি নেমে পুরো এলাকা প্লাবিত হয়েছে। রাতে পানি আরও বেড়েছে। ঘরেও ভালোভাবে থাকার অবস্থা নেই। ছোট শিশু ও বয়স্কদের সবচেয়ে বেশি কষ্ট হচ্ছে বলে জানান তারা।আখাউড়া স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি নিসার উদ্দিন ভূইয়া বলেন, বন্দর পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া বেইলি সেতু ভেঙে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রপ্তানি পণ্যবোঝাই কোনো ট্রাক বন্দরে আসতে পারবে না। এর ফলে সাময়িক সময়ের জন্য বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজালা পারভীন রুহি বলেন, গতকাল রাতে পানি আরও বাড়ায় নতুন করে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আজকে সকাল থেকে দুর্গতদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।

You might also like