আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রধান হাননান খান আর নেই
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সমম্বয়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহা. আবদুল হাননান খান (৭৮) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলায়হি রাজিউন)। রবিবার (২৯ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১ টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন সংস্থার সহ-সমন্বয়ক এম সানাউল হক।সানাউল হক জানান, তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।আইজিপির পদমর্যাদায় থাকা তদন্ত সংস্থার প্রধান মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অজস্র গুনগ্রাহী রেখে গেছেন৷তার মৃত্যুতে তদন্ত সংস্থার সব স্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা গভীর শোকাহত। সবাই তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছেন৷নেত্রকোনার পূর্বধলা খলিশাউর খান পাড়ায় জন্ম নেওয়া আবদুল হাননান খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে এম এ এবং এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি ভাষা আন্দোলনে অংশ নেন। হামদুর রহমান শিক্ষা কমিশন আন্দোলনে কিশোরগঞ্জ মহকুমার ছাত্র সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ছিলেন। ১৯৬৪ সালে ডাকসু নির্বাচনে সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। একই বছর কার্জন হলে অনুষ্ঠিত কনভোকেশনে মোনায়েম খানের হাত থেকে সার্টিফিকেট গ্রহণ করতে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা অস্বীকৃতির ঘটনায় ছয় মাস জেল খাটেন পুলিশের সাবেক এ কর্মকর্তা।অধ্যয়ন শেষে ১৯৬৫ সাল থেকে ব্রাক্ষণবাড়িয়া কলেজ, মৌলভীবাজার কলেজ, ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজ ও জামালপুরের আশেক মাহমুদ কলেজে অধ্যাপনা করেন।তিনি ১৯৭১ সালে ১১ নম্বর সেক্টরের সাব-সেক্টরে সক্রিয় মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে বিসিএস প্রথম ব্যাচে পুলিশ বিভাগে এএসপি হিসেবে যোগদান করেন আবদুল হাননান খান।এরপর ১৯৯৬ সালে ‘বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা’র প্রধান তদন্ত তদারকি কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। তখন পলাতক আসামি মেজর হুদাকে ব্যাংকক থেকে আনতেও সরকারিভাবে তিনি মনোনয়ন পেয়েছিলেন।এছাড়া জেলহত্যা মামলা এবং বুদ্ধিজীবী হত্যা মামলার ও তদন্ত তদারকি কর্মকর্তাও ছিলেন তিনি।২০০০ সালে ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্বায় অবসর নেন৷মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক হিসেবে ২০১১ সালে নিয়োগ পেয়ে আইজিপি পদমর্যাদায় কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।