আবরার হত্যার এক বছর : এখনো অধরা তিন আসামি
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বী হত্যার এক বছর পূর্ণ হলো আজ। গত বছরের এই দিনে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে শেরেবাংলা হলের একটি কক্ষে পিটিয়ে হত্যা করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ঘটনায় পর দিন ৭ অক্টোবর ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন আবরারের বাবা বরকতুল্লাহ।
এরপর গত বছর ১৩ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।এদিকে, এই মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে বাদী ও আবরারের বাবা বরকতুল্লাহর সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। সোমবার (৫ অক্টোবর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে প্রথম দিনে সাক্ষ্য দিয়েছেন বরকতুল্লাহ। টানা সাক্ষ্যগ্রহণের বিভিন্ন পর্যায়ে তিনি মামলার এজাহার ও ঘটনাসহ নানা প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। পরে তাকে জেরাও করে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এ সময় এজাহারের বক্তব্য সমর্থন করে বরকতুল্লাহ জবানবন্দি দিয়ে ছেলে হত্যার ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন। একপর্যায়ে তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
বরকতুল্লাহ বলেন, আসামিরা আমার ছেলেকে ছয় ঘণ্টা ধরে অমানবিক নির্যাতন করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমি আদালতে হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার চাই। আজ মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে।
মামলার আসামিরা: বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতামিম ফুয়াদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. অনিক সরকার ওরফে অপু, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন ওরফে শান্ত, আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা, উপ সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, গ্রন্থ ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ইশতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, কর্মী মুনতাসির আল জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, মো. মুজাহিদুর রহমান, মো. মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ, শামীম বিল্লাহ, মুয়াজ ওরফে আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, আবরারের রুমমেট মিজানুর রহমান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম, এস এম মাহমুদ সেতু, মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল ওরফে জিসান, এহতেশামুল রাব্বি ওরফে তানিম ও মুজতবা রাফিদ।এখনও পলাতক তিনজন: তারা হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। তাদের মধ্যে প্রথম দুজন এজাহারভুক্ত ও শেষের জন এজাহারবহির্ভূত আসামি।